সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষি আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এবং প্রান্তিক পর্যায়ে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ানো, পরামর্শ প্রদান ও জনপ্রিয় করতে কৃষি সম্প্রসারণের অধীনে মাঠ পর্যায়ে কৃষি প্রকৌশলী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) এর কাউন্সিল হলে ‘বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ: বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিযন্ত্রপাতির বেশিরভাগ আসে বিদেশ থেকে, যার দামও অনেক বেশি। তাই, আমরা প্রান্তিক পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে কম দামে, সাশ্রয়ী মূল্যে এসব যন্ত্রপাতি সরবরাহ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। স্থানীয়ভাবে যন্ত্রপাতি ও খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরিতে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা জাপানের ইয়ানমার কোম্পানি, ভারতের মাহিন্দ্রসহ অনেকের সাথে আলোচনা করেছি। তাদেরকে এদেশে যন্ত্রপাতি তৈরির বা অ্যাসেম্বল কারখানা স্থাপনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। স্থানীয়ভাবে যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পারলে একদিকে যেমন যন্ত্রপাতির দাম কমবে, অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরও বলেন, জাপানের ইয়ানমার এদেশে অন্ততপক্ষে যন্ত্রপাতির অ্যাসেম্বল কারখানা স্থাপনের আশ্বাস দিয়েছে। কৃষিমন্ত্রী এসময় কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ও এগ্রো প্রসেসিংয়ে প্রকৌশলীদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে যান্ত্রিকীকরণের সকল কম্পোনেন্ট নিয়ে কাজ করতে হবে। কৃষি প্রকৌশলীদের উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল হতে হবে। কৃষকদেরকে বর্তমানে ৫০ থেকে ৭০% ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি দিচ্ছে সরকার ।
সেমিনারে আইইবির কৃষি কৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো: মোয়াজ্জেম হুসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে আইইবি’র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো: নূরুল হুদা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক প্রকৌশলী মো: মঞ্জুরুল আলম, প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন শিবলু, প্রকৌশলী মিছবাহুজ্জামান চন্দন, প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।