শীত বাড়ার সাথে সাথেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বাড়তে শুরু করেছে পর্যটকদের ভিড়। দীর্ঘ বিরতির পর এমন পর্যটক সমাগমে, আশা-আশঙ্কার দোলাচলে ভাসছেন পর্যটনজীবী স্থানীয়রা।
সরেজমিন দেখা গেছে, বেশিরভাগ পর্যটকই ব্যাক্তিগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এমন অবস্থায়, স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা কোনোভাবেই উড়িয়ে দেয়া যায় না।
ব্যাপক জনসমাগমে আয়-রোজগার বাড়ার আশায় একদিকে, যেমন তারা উচ্ছ্বসিত; তেমনি, বহিরাগতের আনাগোনায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বিগ্নও।
মহামারীর কারণে প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত ও হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে সীমিত পরিসরে খোলার অনুমতি দেয়া হয়। ভাইরাসের আতঙ্ক আর বিধিনিষেধের দমবন্ধ নগরী থেকে একটু অবসর পেতে অনেকেই এখন কক্সবাজারে আসছেন বেড়াতে।
কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করাই যেন এখানে সবচে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হলেও, অবস্থা যেন ‘চোরায় না শোনে ধর্মের কাহিনি!’ পুরো সৈকতেজুড়ে, কারো মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মানার আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়নি।
মুখে মাস্ক পরার দৃশ্যটিও মনে হয়েছে বেশ দুর্লভ। সবার অভিব্যক্তিটাই যেন, আনন্দধামে কেন বিধিনিষেধের বেড়াজাল? এই অবহেলা যে বিপদ ডেকে আনতে পারে, সে কথা মানছেন কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তারাও। কিন্তু যুক্তিসঙ্গত কারণেই ‘কঠোর’ পদক্ষেপে যেতে পারছেন না বলে জানান তারা।
মহামারীর বন্দিদশা থেকে মুক্তি এবং শীতের আগমন- এ দুইয়ের মিশেলে এ মৌসুমে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নামবে ।