রপ্তানিমুখী এমএস বিলেট (MS Billet) উৎপাদন এবং তা বিশ্ববাজারে রপ্তানি বাড়িয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে কার্যকর অবদান রাখার জন্য ইস্পাত শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন,অভ্যন্তরীণ চাহিদার তুলনায় দেশীয় ইস্পাত শিল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকলেও এটি পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। তিনি জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বছরব্যাপী এমএস বিলেট উৎপাদন এবং রপ্তানির নতুন বাজার খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেন।
মন্ত্রী আজ জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের উদ্যোগে চীনে ২৫ হাজার মেট্রিক টন এমএস বিলেট রপ্তানির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ আহ্বান জানান। ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশ এখন এক উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তির নাম। বিগত এক যুগে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, শিল্পপণ্য রপ্তানি, রেমিট্যান্স প্রবাহ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, অবকাঠামো উন্নয়ন, নিরবচ্ছিন্ন
পরিসেবা সহ সকলখাতে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় শিল্পখাত অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। দেশের ধারাবাহিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে শিল্পখাতের উল্লেখযোগ্য অবদান বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, ইস্পাত শিল্পখাত বিকাশের পথে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করতে শিল্প মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ শিল্পের কাঁচামাল সহজলভ্য করতে মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে জাহাজ ভাঙা কার্যক্রমকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলায় জাহাজ ভাঙা শিল্প জোন গড়ে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশ জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ আইন ২০১৮ পাস করে এর আওতায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় জাহাজ ভাঙা শিল্প কারখানাগুলো পরিবেশবান্ধব করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব শিল্প-কারখানায় হংকং কনভেশন ২০০৯ অনুযায়ী ইয়ার্ড শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটি স্থাপন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে চিটাগাং চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট মাহাবুবুল আলম, জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর কবির, জিপিএইচ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমূল আলোচনায় অংশ নেন।