বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে উচ্চতায় পার্থক্য রয়েছে। এই পার্থক্য নির্ধারণ হয় অনেক দিক থেকে। গবেষণা প্রতিবেদনের সিনিয়র লেখক মজিদ এ জাতি বলেছেন, স্কুলে যাওয়ার আগে এবং স্কুলে যাওয়ার দিনগুলোতে বাচ্চাদের ওপর বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগে বড় পার্থক্য আছে বলে বোঝা যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
গড় হিসাবে অন্যান্য দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতার মানুষ রয়েছে বাংলাদেশে। দেশে ১৯ বছর বয়সী মেয়েদের গড় উচ্চতা অন্যদের তুলনায় ২০ সেন্টিমিটার বা সাত ইঞ্চি কম। অ্যাস্ট্রাজেনেকার সহযোগিতায় দ্য ইমপিরিয়াল কলেজ লন্ডনসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা ১৯৩টি দেশের ৬৫ মিলিয়ন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে এক গবেষণা করেন। স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা সাময়িকী দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত ওই গবেষণার ফলে সম্প্রতি এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
১৯৮৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চতায় যে দেশের মানুষেরা এগিয়ে, তাদের তুলনায় বাংলাদেশসহ মোট চারটি দেশের ছেলেমেয়েরা বেশ পিছিয়ে। বাংলাদেশের ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের গড় উচ্চতা যতটুকু, নেদারল্যান্ডসের ১১ বছর বয়সীদের উচ্চতা ততটুকু।
গবেষকরা বলছেন, শিশুকালে পুষ্টিকর খাবারের অভাব এই শারীরিক উচ্চতার এ ভিন্নতা তৈরি করছে। এর প্রভাব থাকে জীবনভর।