সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের রেলমন্ত্রকের তরফে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি নবনির্মিত রেলপথে সফলভাবে ইঞ্জিনের ট্রায়াল হয়েছে। এর ফলে এই রুটে ট্রেন চলাচলে আর কোনও সমস্যা নেই বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। প্রতিবেশী দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের হাতে এই রুটে ট্রেন চলাচলের সূচনা হবে। ১৬ ডিসেম্বর তারিখটিকে এই রুটে ট্রেন চলাচলের সম্ভাব্য তারিখ হিসাবে দুই দেশের তরফে ঠিক করা হয়েছে। রেল সূত্রে খবর, প্রকল্পের অবশিষ্ট অংশের কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করতে পদক্ষেপ করা হয়েছে।
হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেলপথ তৈরিতে বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, চিলাহাটি-হলদিবাড়ি নবনির্মিত রেলপথে গত ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশের তরফে সফলভাবে ইঞ্জিনের ট্রায়াল দেওয়া হয়েছে। এর আগে ৮ অক্টোবর ভারতের তরফে হলদিবাড়ি থেকে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ইঞ্জিনের ট্রায়াল দেওয়া হয়। আব্দুর রহিম বলেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী মিলে ১৬ ডিসেম্বর আন্তঃদেশীয় এই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উদ্বোধন করবেন। শুরুতে পণ্যবাহী ট্রেন চলবে। বাংলাদেশের ৫০তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
হলদিবাড়ি ও বাংলাদেশের চিলাহাটি স্টেশন দুটিকে আন্তর্জাতিক মানের স্টেশনে রূপ দেওয়ার কাজ বর্তমানে প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছরের গোড়ার দিকে স্থানীয় সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায় হলদিবাড়ির নবনির্মিত স্টেশন ভবনের উদ্বোধন করেন। বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের রেলগেট সহ কর্মী আবাসন, বিএসএফ ও শুল্ক দপ্তরের ভবন তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। রেল সূত্রে খবর, গেট তৈরির জন্য হলদিবাড়ি ব্লকের খালপাড়া এলাকায় ৭৮২/২এস আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার সংলগ্ন ১৫ মিটার কাঁটাতারের বেড়া কেটে ফেলা হয়েছে। এই ১৫ মিটারের মধ্যে ১০ মিটার অংশে রেললাইন পাতা হয়েছে। তার ওপর সাড়ে ছয় মিটার উচ্চতার দুই পাল্লার একটি সুদৃশ্য গেট গড়ার কাজ চলছে। বাকি অংশে দুদিকে বিএসএফের সেন্ট্রি পোস্ট তৈরির কাজ চলছে। লোহা দিয়ে গেটটি তৈরি করা হচ্ছে। তার ওপর কাঁটাতারের বেড়া থাকবে।
দুই পাল্লা যুক্ত এই গেটটির উত্তর প্রান্তে ভারতীয় ভূখণ্ডে শুল্ক দপ্তর ও বিএসএফের জন্য ভবন তৈরি করা হচ্ছে। সীমান্তের রেললাইনের ওপরের সিপিডব্লিউডি সড়কটি দিয়ে সীমান্ত রক্ষীবাহিনী চলাচল করতে পারবে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (এনজেপি) সুকুমার দে বলেন, জোরকদমে রেলগেট গড়ার কাজ চলছে। শীঘ্রই সেটি সহ ভবনগুলির কাজ শেষ হবে।