শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪

প্রতিটি মুহূর্ত রঙিন করে রেখেছেন সনাতনধর্মী তারকারা

মহাষষ্ঠি থেকে বিসর্জন- প্রতিটি মুহূর্ত রঙিন করে রেখেছেন সনাতনধর্মী তারকারা। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তারা উদযাপন করছেন দুর্গাপূজার আনন্দময় মুহূর্ত। সেই গল্প নিয়ে এই আয়োজন-

বিদ্যা সিনহা মিম

ছোটবেলার পূজায় অনেক মজা করতাম। বান্ধবীদের নিয়ে আড্ডা, বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ঘুরে বেড়ানো, মেলায় যাওয়া আরও কত কী হতো। পূজা শুরুর আগেই গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতে চলে যেতাম। করোনার কারণে সবকিছু পাল্টে গেল। এবার আর যাওয়া হচ্ছে না। গ্রামে পূজার আনন্দই অন্যরকম। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করা, তাদের নিয়ে বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরে বেড়ানো ছিল নিয়মিত কাজ। তবে শৈশবের পূজার রঙিন দিনগুলো কেটেছে ভোলায়। আমার বাসা থেকে পূজামণ্ডপ পর্যন্ত আলোকসজ্জার দৃশ্য এখনও চোখে ভাসে। মহালয়া থেকেই পূজার আমেজ শুরু হতো। পূজায় মণ্ডপে না গেলে আনন্দ পূর্ণ হয় না। শুধু ঘুরে বেড়ানোই নয়, মনের শুদ্ধতা ও ভক্তি নিয়ে আসে পূজা। এবার ঢাকার বাসায় পূজার প্রায় বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকার বেশ কয়েকটি মন্দিরে প্রতিমা দেখতে গিয়েছি। নতুন জামা-কাপড় পরবো। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত কী করব- তারও একটা পরিকল্পনা তৈরি করেছিলাম। যদিও সব পরিকল্পনা পূরণ করতে পারিনি। সাজসজ্জা নিয়ে যত পরিকল্পনাই করা হোক, তা বদলে যেতে সময় লাগে না। পূজায় মায়ের হাতের রান্নাতো ছিলই। আমিও চেষ্টা করেছি পায়েস আর সবজি রান্নার।

পূজা সেনগুপ্ত

দুর্গাপূজা এখন সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। পূজামণ্ডপের সংখ্যাও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তাই আনন্দের মাত্রাও বেড়েছে কয়েক গুণ। আমার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে হলেও আমরা সবাই ঢাকায় থাকি। আত্মীয়স্বজনও ঢাকায় থাকেন। তাই পূজায় সবাইকে নিয়ে আনন্দে সময় কেটে যায়। সবাই মিলে বিভিন্ন মণ্ডপে ঘুরতে যাওয়া হয়। শৈশবে আমরা গোপীবাগ থাকতাম। রামকৃষ্ণ মিশন খুব কাছে। ঠাকুরমার সঙ্গে মিশনে যাওয়া হতো। সেই দিনগুলো মিস করি। করোনার কারণে এবারে পূজায় কোনো অনুষ্ঠান করিনি। ফলে উৎসবের এই পুরো সময় পরিবারের সঙ্গে ছিলাম। ভিড় এড়িয়ে সপ্তমীর দিন সকালে অঞ্জলি দিয়েছি। আমার কাছে পূজার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো দুর্গা মায়ের প্রতিমা। প্রতিমার শৈল্পিক দিক ও প্রতিমার ভেতরকার শক্তির ব্যাপারটি বেশি আকর্ষণ করে। যষ্ঠী থেকে দশমী দেশীয় শাড়ি পরছি।

পূজা চেরি

পূজা এলে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। যেন আনন্দে হারিয়ে যায় মন। আগে ঢাকার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে নিঃসংকোচে ঘুরে বেড়াতাম। এবারও পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঢাকার বেশ কয়েকটি মণ্ডপে গিয়েছি। তবে গ্রামের বাড়ি খুলনার গাজীরহাটে পূজার দিনগুলো ছিল অন্যরকম। পূজা শুরু হওয়ার আগেই আমাদের বাসায় উৎসবের আমেজ তৈরি হতো। বাড়ির উঠানে বসে সবাই নাড়ূ, মোয়াসহ নানা ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে যেত। বাবা আগে থেকেই খাবারের লিস্ট করে রাখত। পূজায় নতুন জামাকাপড় আমার চাই-ই চাই। এবারও অনেক পোশাক কিনেছিলাম। সেগুলোই পরেছি। মায়ের সঙ্গে পূজার রান্নাও করেছি।

 

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

সর্বশেষ