শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আয়েশার অবৈধ সম্পত্ত্বির অভিযোগ

যা যা মিস করেছেন

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) আয়েশা নার্গিস তার কিছু সহযোগী কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের নিয়ে অধিদপ্তরে তৈরী করেছেন এক সিন্ডিকেট গ্রুপ যার মাধ্যমে চলছে সকল দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারীতা। মন্ত্রী ও ডিজির নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে বদলী বানিজ্য।  ২০১৯-২০ অর্থ বছর শেষ হয়ে  ৪ মাস অতিবাহীত হলেও তার সহযোগিতায় প্রায় ৩ (তিন) কোটি টাকার সেলাই মেশিনের সকল বিল পরিশোধ করে দিলেও এখন পর্যন্ত একটি সেলাই মেশিনও খুঁজে পাওয়া যায়নি অধিদপ্তরে।

এনজিও এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আয়েশা নার্গিসের বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশনের করা একটি  অভিযোগের সূত্র ধরে জানা যায়, সেলাই মেশিন ছাড়াও  তিনি কোন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় না গিয়ে নিজের সুবিধামত দাম নির্ধারন করে ইচ্ছামত অধিদপ্তরের আরও অন্যান্য মালামাল ক্রয় করছেন। এই কাজটিতে তার খুবই ঘনিষ্ট একজন  প্রশাসনিক কর্মকর্তাও জড়িত আছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বদলী বানিজ্যর এবং যোগ্যতা ও পদক্রমের তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছা  অনুযায়ী পদোন্নতী দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।   তার এই সকল কর্মকান্ডে অধিদপ্তরের অন্যান্য সকল কর্মকর্তারাও তটস্থ হয়ে থাকছেন।

ঢাকা জেলা মহিলা অধিদপ্তর অফিসে উপ পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে মার্তৃত্বকালীন ভাতার কার্ড বিক্রী করে প্রচুর অর্থ  আত্নসাতের অভিযোগ রয়েছে এবং এই কাজে যে কর্মচারী সহায়তা করতেন তাকেও বদলী করে বর্তমানে মহিলা অধিদপ্তর অফিসে এনে নিজের দূর্নীতির সকল কাজ করিয়ে নিচ্ছেন।

অভিযোগটিতে আরও বলা হয়েছে, আয়েশা নার্গিসের নামে রয়েছে ধানমন্ডি, শংকর ও আদাবর ১০ এ, একাধিক ফ্ল্যাট। এছাড়াও বেনামে রয়েছে আরও সম্পত্ত্বি। এই বিপুল পরিমান সম্পত্ত্বি তিনি করেছেন ঢাকা জেলা মহিলা অফিস ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে দূর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্নসাতের মাধ্যমে। তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন  কমিশনে অভিযোগে এই সকল তথ্য জানা গেছে।

এই সিন্ডিকেটের আধিপত্যের কারণে বাধ্য হয়ে  ডিজিও আয়েশা নার্গিসের চাহিদা মাফিক কাজ করছেন, এমনকি পরিচালককে ছাড়াই সরাসরি ফাইল ডিজির কাছে প্রেরনের নজিরও  রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে।

এ বিষয়ে উপ-পরিচালক আয়েশা নার্গিসের নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং সেলাই মেশিনের  বিল সংক্রান্ত সকল বিষয় সম্পর্কে নতুন পরিচালক মহোদয় অবগত আছেন বলে দ্যা মেইল বিডিকে জানান।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security