দেশে নানা ধরনের অপরাধপ্রবণতায় এবং অপরাধীরা কৌশল বদলানোয় এসব নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কৌশল পাল্টিয়েছে। সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে প্রচলিত ধারায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণের যে পদ্ধতি এত দিন ছিল, তা থেকে সরে এসেছে পুলিশ। নতুন কৌশলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে কিভাবে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেই পথে এগোচ্ছে পুলিশ।
রাজধানীর হাতিরঝিলের মুখে এফডিসির পাশের রাস্তায় সার্বক্ষণিক একটি চেকপোস্ট ছিল। সেখানে অর্ধেক রাস্তায় ব্যারিকেড বসিয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করতেন। কয়েক দিন ধরে ওই চেকপোস্ট দেখা যাচ্ছে না। চেকপোস্টটি তুলে নেওয়ায় সেখানে আর আগের মতো যানজট হয় না।
একইভাবে রামপুরা বিটিভি ভবনের সামনে, মতিঝিলের নটর ডেম কলেজের গেটের পাশে, গেণ্ডারিয়া রেলস্টেশনের কাছে, বনানী মোড়ে পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্ট ছিল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চেকপোস্টগুলোর ব্যারিকেড থাকলেও সেখানে কোনো পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন না। অপরাধী ধরতে চেকপোস্টের কৌশল পাল্টে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। কারণ যেখানে যেখানে চেকপোস্ট আছে, তা অপরাধীরা জানে। ফলে তারা অন্য পথে চলে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অপরাধীরা কৌশল পাল্টানোয় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কৌশল পাল্টেছে। তবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জরুরি প্রয়োজনে চেকপোস্ট বসাতে হলে কিংবা স্থায়ী চেকপোস্টগুলোতে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। বিশেষ করে কাউকে আটকের পর তথ্য-উপাত্ত যাচাই না করে নাজেহাল না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জেলা পুলিশ সুপারদের। আর রাজধানীর সব ক্রাইম বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চেকপোস্টগুলোয় নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। গত শনিবার বিট পুলিশিং নিয়ে এক সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন।