Home স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা করোনা প্রতিরোধে চতুর্মুখী সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান

করোনা প্রতিরোধে চতুর্মুখী সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান

শুধু মাস্ক ব্যবহার কিংবা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নয়, করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে চতুর্মুখী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, জ্যামিতিক হারে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। ব্যাপারটা এমন যে, কয়েক দিনের ব্যবধানে এটি চীন থেকে গোটা বিশ্বের রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশও ঝুঁকির বাইরে নয়।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ‘সেমিনার অন করোনাভাইরাস’ শীর্ষক সভায় উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রিন ব্লাড ক্লাব এ সেমিনারের আয়োজন করে।

বক্তারা বলেন, মোটাদাগে মোট ৪ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশ। এর মধ্যে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অন্যান্য যোগাযোগ ভালো হওয়ায় দেশটির অনেক নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। দ্বিতীয়ত, যেহেতু করোনাভাইরাসের সঙ্গে বাদুড়ের সম্পর্ক আছে এবং বাংলাদেশে শীতকাল চলায় খেজুর রসের মাধ্যমে এই রোগ ছড়াতে পারে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী কলকাতায় এই রোগীর অবস্থান এবং চীনের একাধিক শিক্ষার্থীকে সন্দেহভাজন হিসেবে হাসপাতালে রাখার বিষয়টিও চিন্তার।

সেমিনারে ডা. নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এর মধ্যে সাবান বা সেনিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন হাত এবং মুখমণ্ডল পরিষ্কার, আক্রান্ত ব্যক্তি হতে দূরত্ব বজায় এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করা। এছাড়া রাস্তায় চলাফেরা কিংবা ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেহেতু পার্শ্ববর্তী কলকাতায়ও এই রোগী আছে, তাই বাংলাদেশকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির শিক্ষার্থীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যেকোনো রোগ প্রতিরোধ ও নির্মূলের শর্তই হলো সতর্কতা। যেহেতু করোনাভাইরাস বাতাসসহ নানাভাবে ছড়াচ্ছে, তাই এ রোগ থেকে বাঁচতে পূর্ব সতর্কতা অবলম্বনের বিকল্প নেই।

সেমিনারে ব্যবসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী, আইন বিভাগে চেয়ারম্যান ড. পারভেজ আহমেদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএমকে নাজমুল হক, ব্লাড ক্লাবের মডারেটর ও গ্রিন বিজনেস স্কুলের প্রভাষক লায়লা ফেরদৌসী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version
x
This Site Is Protected By
Shield Security