নিবন্ধনের জন্য এক হাজার ৭১৭টি অনলাইন পত্রিকা তথ্য অধিদপ্তরে আবেদন করেছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
রোববার সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নে এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে অনুমোদিত বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ৪১টি। অনুমোদিত এফ এম বেতার ২৮টি, অনুমোদিত কমিউনিটি রেডিও ৩২টি এবং দৈনিক পত্রিকা এক হাজার ৮৬টি।
অধিবেশনের শুরতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করেন।
কক্সবাজারের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছের ওই প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনলাইনভিত্তিক টিভি চ্যানেল, অনলাইন রেডিও, অনলাইন পত্রিকার প্রকৃত সংখ্যা তথ্য মন্ত্রণালয়ে লিপিবদ্ধ নাই।
“অবৈধ ও অনিবন্ধিত অনলাইনভিত্তিক টিভি চ্যানেল, অনলাইন রেডিও, অনলাইন পত্রিকাসমূহকে বিধি-বিধানের আওতায় আনাসহ দায়বদ্ধতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নসহ সরকার নিবন্ধন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।”
অনলাইন পত্রিকা, রেডিও, টিভি চ্যানেলগুলো নিবন্ধন কার্যক্রমের আওতায় আনতে আবেদন দাখিলের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ১০৫টি অনলাইন টিভি চ্যানেল, ১৮টি অনলাইন রেডিও এবং এক হাজার ৭১৭টি অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধনের আবেদন করেছে বলে জানান তিনি।
‘অপসাংবাদিকতা’ রোধে সব অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে গত নভেম্বরে আবেদন নেওয়া শুরু হয়। শুরুতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হলেও সময় বাড়ানো হয় চার দফা। শেষবার ১৭ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধন শেষ করতে বলা হয়।
অনলাইন গণমাধ্যম নিবন্ধনের আবেদন চেয়ে সরকারি ভাষ্যে বলা হয়েছিল, “বাংলাদেশের অনলাইন পত্রিকার প্রকাশকদের পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা এবং অপসাংবাদিকতা রোধ করার লক্ষ্যে সরকার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করেছে।”
সরকারের নিবন্ধন পাওয়ার জন্য অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোকে নির্ধারিত নিবন্ধন ফরম ও একটি প্রত্যয়নপত্র বা হলফনামা পূরণ করে তথ্য অধিদপ্তরে জমা দিতে হয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারা দেশে এক হাজার ৮৬টি দৈনিক পত্রিকা রয়েছে।তার মধ্যে চারটি জেলার একটি করে পত্রিকা রয়েছে। লালমনিরহাটে কোনো দৈনিক পত্রিকা নেই। সবচেয়ে বেশি দৈনিক পত্রিকা রয়েছে ঢাকা জেলায়, ৪০২টি।