এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যায় নতুন করে দুইজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার বলেছেন, ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে’ তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রোববার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে চট্টগ্রাম নগর পুলিশেরে কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, গ্রেপ্তার মোহাম্মদ ওয়াসিম ও আনোয়ারের বাড়ি রাঙ্গুনিয়ায়।
“তারা পেশাদার অপরাধী। … তারা আদালতে জবানবন্দি দিচ্ছে।”
তিনি বলেন, ‘ দুজনই চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা। এরমধ্যে ওয়াসিম নিজে মিতুকে গুলি করেন। আর আনোয়ার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ব্যাকআপের জন্য।’ আদালতে দুজনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, ‘ঘটনার মোটিভ (উদ্দেশ্য) এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তবে আটকরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র, এরা ভাড়াটে খুনি। এটা একটা টার্গেট কিলিং।’ এই হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত তা তদন্ত শেষ করে জানা যাবে, যোগ করেন সিএমপি কমিশনার।
তবে এ দু’জনকে কখন, কোথায়, কীভাবে আটক করা হয় ‘তদন্তের স্বার্থে’ তা জানানো হয়নি। তিনি জানান, তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
বাবুল আক্তারকে গতকাল শনিবার ঢাকায় জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদই করা হয়নি। তদন্তের স্বার্থে তার সঙ্গে মামলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
বাবুল আক্তারকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে কি না জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাবুল আক্তার জড়িত এমন সন্দেহ হলেতো তাকে আটকই করা হতো। নজরদারি কেন?’ তার নিরাপত্তার জন্য সঙ্গে পুলিশ দেয়া হয়েছে বলেও যোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। পরদিন পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব, সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিআই)। তবে মামলার মূল তদন্তে আছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। যদিও সবগুলো সংস্থা মিলে এখন পর্যন্ত এ ঘটনার তেমন কোনো ক্লু খুঁজে বের করতে পারেনি।