রাজধানীর কাকরাইল এলাকা থেকে এক ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তুলে প্রায় আট লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পায়নি। পেলে ‘অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে’ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
মো. শামসুজ্জামান রতন (৫৪) নামের ওই ব্যবসায়ী বলেন, “শনিবার বিকালে কাকরাইল মসজিদ থেকে শেরাটন হোটেলের দিকে সাইকেলে করে যাওয়ার সময় একটি কালো মাইক্রোবাস তার গতিরোধ করে। এরপর গাড়িতে থাকা ৬/৭ জন যুবক তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়।”
শামসুজ্জামান রতন বলছেন, এক সময় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে ঠিকাদারের কাজ করতেন তিনি। বর্তমানে ঠিকাদারী ব্যবসায় তেমন সক্রিয় না হলেও বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসা করেন।
তিনি বলেন, শনিবার দুপুরে বায়তুল মোকাররম মসজিদের মার্কেট থেকে একটি মুদ্রা বেচাকেনার দোকান থেকে মালয়েশিয়ার ২০ হাজার রিঙ্গিত কেনেন। তার সঙ্গে নগদ ছিল প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় আট লাখ টাকা ছিল।
সে অর্থ নিয়ে কলাবাগানের বাসায় ফিরছিলেন জানিয়ে শামসুজ্জামান বলেন, ওই এলাকা থেকে কিছু দূরেই মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, মহানগর পুলিশ কমিশনার ও মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার কার্যালয়। একই এলাকায় মন্ত্রীরাও থাকেন।
তিনি বলেন, “গাড়িতে তোলা হচ্ছে কেন- জানতে চাইলে ওই যুবকরা বলে, বেশি কথা বললে অফিসে ঢুকামু। এরপর আমাকে মোটা লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। চড়-ধাপ্পড়ও দেওয়া হয়। এক ঘণ্টা গাড়িতে রেখে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয়।”
ওই যুবকদের কাছে হাতকড়া এবং একজনের হাতে ওয়াকিটকি ছিল জানিয়ে শামসুজ্জামান বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় রমনা থানায় আইনের আশ্রয় চাইবেন তিনি।
পুলিশের রমনা জোনের উপ কমিশনার শাহ মিজান সাফিউর রহমানবলেন, “এখনও অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নিয়ে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”