গুপ্তহত্যার সঙ্গে জড়িতদের ‘খুঁজে খুঁজে’ বের করা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ‘এদের খুঁজে খুঁজে আমরা বের করব। বাংলাদেশে যাবে কোথায়?’
শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ভূখণ্ডের দিক দিয়ে ছোট। এখানে সবাই সবাইকে চিনতে পারে বা জানতে পারে। এগুলো খুঁজে বের করা খুব কঠিন কাজ না। এর শাস্তি তারা পাবেই।’ গুপ্তহত্যা বন্ধ করা সময়ের ব্যাপার বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ হত্যাকাণ্ডগুলোর সূত্রও খুঁজে বের করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু সূত্র আমরা পাচ্ছি। সব এক সময় বের হবেই। দেশি-বিদেশি যারাই এর পেছনে থাক, বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। যারা উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, তাদের কোনো ক্ষমা নেই। এই বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলবে না।’
গুপ্তহত্যা বন্ধে দেশবাসীকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেউ যখন আঘাত করবে, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দয়া করে দেখবেন না। বরং সবাই একজোট হয়ে সেটাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করবেন।
“আমরা সাথে থাকব। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাথে থাকবে।”
বিএনপি-জামায়াত জোটের সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রতিহত করার মতো গুপ্তহত্যাও প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।
“যারা এগুলো করে পালাতে চাইবে.. আমি রাস্তায় যারা থাকে, তাদের বলব, এদের অন্তত ধরার চেষ্টা করবেন। তাদেরকে প্রতিরোধ করবেন। ঠিক যেভাবে করেছিলেন, ২০১৫-এর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত।”
গুপ্তহত্যায় জড়িতদের হুঁশিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকে পুলিশের পরিবারের উপর আঘাত করা হয়েছে। যারা এটা করে, তারা ভুলে যায় কেন যে তাদেরও পরিবার আছে। তাদেরও বাবা-মা আছে, ভাই-বোন আছে, ছেলে-মেয়ে আছে।
“আঘাত দিলে প্রতিঘাত কিন্তু পেতেই হবে। তারা কী তাদের পরিবারকে এভাবে বিপদে ফেলতে চায়?”
জঙ্গিবাদী কার্যক্রমে যেন সন্তানরা জড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য অভিভাবকদের সজাগ থাকার আহ্বানও জানান তিনি।