বাসার ছোট সদস্যটি ঘর সবচেয়ে বেশি নোংরা করে থাকে। খেলনা, কাপড়, বই খাতা গোছাতে গোছাতে বাড়ির সদ্যসদের অনেকখানি সময় চলে যায়। প্রতিটি মায়ের মনে হয়, ইস তার শিশুটি যদি গোছালো হত!
কিন্তু বড়দের এই বিষয়টি শিক্ষা দেওয়া যতটা সহজ ছোটদের ক্ষেত্রে ঠিক ততটাই কঠিন। যদি কিছু অভ্যাস ছোটবেলা থেকে তার মধ্যে গড়ে তোলা যায়, তবে এই কঠিন কাজটি কিছুটা হলেও সহজ হয়ে যাবে।
১। নিয়ম তৈরি করুন :
পরিষ্কার সংক্রান্ত কিছু নিয়ম তৈরি করুন এবং তা বুঝিয়ে দিন। তাকে বলুন “খেলা শেষ করে খেলনাটি গুছিয়ে রেখে পরের খেলনা দিয়ে খেলা শুরু কর”। যদি সে ভুলে যায়, তাকে ডাক দিয়ে কাজটি করিয়ে নিন। এভাবে কয়েকবার করলে এটি তাঁর অভ্যাসে পরিণত হবে। তবে হ্যাঁ এই কাজটি বকে বা ধমক দিয়ে না করিয়ে তাকে বুঝিয়ে বলুন।
২। কাপড় গুছিয়ে রাখা:
৩-৪ বছর থেকে শিশুটিকে কাপড় গুছিয়ে রাখার শিক্ষা দিন। কাপড় গোছানোর সময় আপনার সাথে শিশুটিকে রাখুন। ছোট ছোট কাপড়গুলো তাকে গোছাতে দিন। প্রথম প্রথম হয়তো সে কাজটি করতে পারবে না। তবে ছোট বয়সে কাজটি করতে করতে ৮-১০ বছর বয়স হতে হতে সে কাজটিতে সে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে।
৩। কাজটিকে মজা করে তুলুন:
শিশুরা খেলা পছন্দ করে থাকে। পরিষ্কার করা কাজটিকে খেলায় পরিণত করে নিন। খেলনা গোছানো কাজটিকে এইভাবে বলতে পারেন, “কে সবার আগে খেলনাগুলো গুছিয়ে ফেলতে পারে? অথবা বলতে পারেন, ৫ মিনিটের মধ্যে খেলনা গুছিয়ে রাখলে চকলেট দিব”। এই ভাবে পরিষ্কার করার কাজটিকে আনন্দময় করে তোলা সম্ভব।
৪। মিউজিকের ব্যবস্থা করুন:
“ এই গানটি শেষ হবার আগে সব কাজ যেন করা হয়ে যায়”- এইভাবে শিশুটিকে পরিষ্কার করার কাজের কথা বলতে পারেন। প্রতিটি শিশুর গান বা মিউজিক পছন্দ করে। তাদের পছন্দের কিছু মিউজিক বা গান থাকে। কাজের সময় সেই গানটি ছেড়ে দিন। দেখবেন কাজের প্রতি আগ্রহ পাবে।
৫। প্রশংসা করুন:
হয়তো আপনার শিশুটি প্রথমে কাজটি ঠিকমত করতে পারবে না, তখন তাকে বকা দিবেন না বা বিরক্ত হবেন না। এতে তারা কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। তাকে কাজ করার জন্য ধন্যবাদ দিন। কাজের প্রশংসা করুন। এই প্রশংসা তাকে ভবিষ্যৎ এ কাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে।
এই অভ্যাসগুলো ছোট থেকে অভ্যস্ত করে তুলুন। দেখবেন বাসার কনিষ্ঠ সদস্যটি ঘরে নোংরা করার পরিবর্তে ঘর পরিষ্কার রাখছে।