রাজধানীর মৌচাক মার্কেটের দোকানপাট বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার বিচারপতি।
এ আদেশের ফলে আপাতত এই মার্কেটে দোকান মালিকদের ব্যবসা পরিচালনায় কোনো বাধা রইল না। তবে আদালত বলেছেন, এর জন্য দায়-দায়িত্ব ও ঝুঁকি দোকানিদের নিতে হবে।
মৌচাক মার্কেট বণিক সমিতির পক্ষে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার এ আদেশ দেন। বনিক সমিতির পক্ষে আদালতে শুনানি করেন এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস। অপরদিকে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোতাহার হোসেন।
এর আগে বুয়েটের প্রতিবেদনের আলোকে সংস্কার করা বা বিল্ডিং কোড অনুসারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সক্ষমতা সনদ না পাওয়া পর্যন্ত সোমবার (৬ জুন) এসব দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব এবং রাজউক কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। একইসঙ্গে দোকান খালি করতে কেন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, রাজউকের অথরাইজড কর্মকর্তাসহ সাত বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ৭ মে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (রাজউক) মৌচাক মার্কেটের ভবন মালিককে চিঠি দেয়।
এতে বলা হয়, প্রাচীন এই ভবনটি বহুল ব্যবহৃত এবং প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। বর্তমানে ইমারতটি জীর্ণ ও দৃশ্যত ঝুকিপূর্ণ প্রতীয়মান হয়েছে। তাই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগ কর্তৃক পরীক্ষা-নীরিক্ষা পূর্বক কাঠামোগত উপযুক্ততার সনদ গ্রহণ করে চাওয়া তথ্যদি এই দপ্তরে (রাজউক) দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হল। সেইসঙ্গে ভবনটির কাঠামোগত উপযুক্ততা নিশ্চিত হয়ে ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হল।