রোজার ঈদ ঘিরে ১০ দিন দেশের সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। পাশাপাশি ঈদের আগে-পরে মিলিয়ে ছয়দিন মহাসড়কে ট্রাক-লরি চলাচলে থাকবে কড়াকড়ি।
এমনিতে বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকলেও ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধার জন্য প্রতিবারই কয়েক দিনের জন্য ওই নিয়ম শিথিল করে সব সময় গ্যাস বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়।
মন্ত্রী জানান, ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে এবারও ঈদের আগে তিন দিন ও পরে তিন দিন মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ও কভার্ড ভ্যান চলবে না।
এবার সরকারিভাবে রোজার ঈদের ছুটি ঠিক করা হয়েছে ৫, ৬ ও ৭ জুলাই। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৬ জুলাই বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে।
ওই সময় সড়কে নিরবচ্ছিন্ন যান চলাচল নিশ্চিত করতেই স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, নারায়ণগঞ্জ মেয়র, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পরিবহন মালিকদের নিয়ে এই বৈঠক হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদযাত্রায় জটিলতা এড়াতে এবারও পোশাক কারখানাগুলোয় ধাপে ধাপে ছুটি দিয়ে ঈদের পর ভিন্ন ভিন্ন তারিখে কারখানার খোলার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
কোন পোশাক কারখানায় আগে ও কোনটিতে পরে ছুটি হবে, গার্মেন্ট মালিকরা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে তা ঠিক করবেন।
এছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ভিজিলেন্স টিম, চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা, মহাসড়ক মনিটরিংসহ নানা উদ্যেগের কথা জানান মন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, “গতবারের চেয়ে এবার ঈদে বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে কারণ রেল বহরে নতুন কোচ যোগ হয়েছে। এছাড়া স্টেশনগুলোন নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হবে।”