ভুল আইনে বিচারের ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে সংশ্লিষ্ট বিচারকের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
পনের বছর আগের ধর্ষণের এক ঘটনায় ‘ভুল আইনে’ বিচার করায় ভোলার চরফ্যাশনের আব্দুল জলিলকে সম্প্রতি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
গত ২৫ মে ওই রায়ে জলিলের দণ্ডাদেশ বাতিল করে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিষয়টি মন্ত্রীর গোচরে এনে রোববার এক সাংবাদিক জানতে চান- সংশ্লিষ্ট বিচারকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে কি না, ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না।
২০০১ সালে জলিলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। ঐ মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয় ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনাল। ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট এ রায় দেয়ার সময় জলিলের বয়স ছিল ১৫ বছর।
জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, “নিশ্চয়ই। এটাইতো স্বাভাবিক যে, কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হলে ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিংস হবে। কোনো ফৌজদারি অপরাধ হলে মামলা হবে। দেওয়ানি অপরাধ হলে সেখানেও ফাইনের জন্য মামলা হবে।”
হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়, আসামি নাবালক হওয়ার পরও নিম্ন আদালতের বিচারক শিশু আইনে তার বিচার না করে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন। নিম্ন আদালতের বিচারক এ মামলার বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনাও অবহেলা করেছেন। এর দায় থেকে তিনি অব্যাহতি পেতে পারেন না।
সংবাদপত্রে ওই খবর পড়ার কথা জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “এটা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক।”
তিনি বলেন, বিচার বিভাগে কখনও ভুল হবে না- এমন নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। তবে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের চেষ্টা অবশ্যই করতে হবে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আবারও চোখে পড়লে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তা তুলে আনতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান আনিসুল হক।
“তাহলে আমি তৎক্ষণাত ব্যবস্থা নেব। এতটুকু আমি আপনাদেরকে নিশ্চিত করতে পারি,” বলেন মন্ত্রী।