বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড বাতাস বইছে, সঙ্গে হচ্ছে প্রবল বৃষ্টিপাত। এরই ফলে সীতাকুণ্ডে জঙ্গল ছলিমপুরের কালাপানিয়া পাহাড় এলাকায় ঘরের ওপরে গাছ ভেঙে পড়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, কালাপানিয়া পাহাড় এলাকার বাসিন্দা রফিকের স্ত্রী কাজল বেগম (৫০) ও তার ছেলে বেলাল প্রকাশ আবু (১০)।
ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে প্রবল ঝড়ে ঘরচাপায় ভোলাতেও দুজনের মত্যু হয়েছে। তজুমদ্দিন উপজেলার শশিগঞ্জ গ্রামে মৃত এ দুজনের একজন গৃহবধূ এবং অন্যজন শিক্ষার্থী। নিহতরা হলেন- স্কুলছাত্র আকরাম, সে চাঁদপুর ইউনিয়নের শশিগঞ্জ গ্রামের মো. মফিজের ছেলে। একই গ্রামের রেখা বেগম, তিনি নয়নের স্ত্রী।
ঘূর্ণিঝড়ে জেলার দশমিনা উপজেলায় শনিবার ঘর চাপায় এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। ওই নারী সদর ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা নয়া বিবি।
এদিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর এবং চর কুকড়িমুকড়ি ইউনিয়নে জোয়ারের পানি ঢুকে দুই শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি পড়ে গেছে।
ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার এই প্রতিবেদককে জানান, এলাকার একশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতাধিক গবাদি পশু জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। এ দুই চরে দু’টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও সেখানে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে ঘুর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে শুক্রবার রাত থেকে জেলায় ভারি বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত শতাধিক কাঁচা-পাকা বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।