চার দশক আগে পূর্ব ইউরোপের যে দেশটির সঙ্গে সাংস্কৃতিক সহযোগিতার অঙ্গীকার করেও আটকে গিয়েছিল যাত্রা এবার সেই বুলগেরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে দেখা দিয়েছে নতুন সূচনার আশা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিনদিনের বুলগেরিয়া সফরে পারস্পরিক সহযোগিতায় তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি কাঠামোগত চুক্তি নতুন যাত্রার এই আশা দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সোফিয়ায় বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসভ ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর তাদের উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই হয়।
বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর পররাষ্ট্রসচিব ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব সাংবাদিকদের চুক্তির বিভিন্ন বিষয় জানান।
দুই দেশের সরকারের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিপ্লোম্যাটিক ইনস্টিটিউটের মধ্যে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন ও বুলগেরিয়ার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এন্টারপ্রাইজ করপোরেশনের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক তিনটি স্বাক্ষরিত হয়।
এ ছাড়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এবং বুলগেরিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের মধ্যে হয় পারস্পরিক সহযোগিতার চুক্তি।
অর্থনৈতিক সহযোগিতার সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক ও বুলগেরিয়ার পক্ষে দেশটির অর্থনৈতিক উপমন্ত্রী দানিয়েলা ভেজিয়েভা স্বাক্ষর করেন।
দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করেছেন।
বুলগেরিয়াতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশেও যে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে তাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
তিনদিনের সফর শেষে শনিবার ভোরে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।