নির্বাচনের আগে আওয়াজ উঠেছিল ‘পরিবর্তনের’, ছিল ঘুষ, সারদা কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা। কলকাতায় ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ার পর রব উঠেছিল, পাঁচ বছরেই ঘুরে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির হাওয়া। শেষ পর্যন্ত ভারতের এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তার কিছুই হয়নি।
সব শঙ্কা কাটিয়ে আবারও পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় বসছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফিরছে বিপুল বিক্রমে, আগের চেয়েও বেশি আসন আর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে।
বৃহস্পতিবার ঘোষিত অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে কংগ্রেস-বামফ্রন্ট জোটকে বিপুল ব্যবধানে পেছনে ফেলে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে রাজ্যের ক্ষমতায় আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া ভোট গণনায় ২৯৪টি আসনের মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২১২টি আসনে জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগে ২০১১ সালের নির্বাচনে ১৮৪ টি আসনে জয় পেয়েছিল দলটি।
নির্বাচন শেষ হওয়া পর ফলাফলের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, মমতা ১৬৫ থেকে ১৭০টি আসনে জয় পেয়ে ফের ক্ষমতায় আসতে পারেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের ভরাডুবি ঘটিয়ে তৃণমূল ২০০টিরও বেশিতে আসনে জয় পেতে যাচ্ছেন।
দ্বিতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হতে যাওয়ায় এরই মধ্যে মমতার বাসার সামনে উদযাপন শুরু হয়ে গেছে।
সারদা কেলেঙ্কারি ও নারদা স্টিং অপারেশনের কারণে কিছুটা পেছানো ছিলেন মমতা। এর সঙ্গে কলকাতায় ফ্লাইওভার ধসে তার ওপর আরো বেশি চাপ সৃষ্টি করেছিল। ফ্লাইওভার ধসকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী প্রচারণায় সময় কিছুটা বিধ্বংসী রূপ দেখা গেছে বিজেপির মধ্যে।
অবশ্য নিজের জয় নিয়ে প্রায় নিশ্চিত ছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। নির্বাচন চলাকালে একটি সভায় জয়ের বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
মমতার এই জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আগামী ২৭ মে শপথ গ্রহণ করার কথা জানিয়ে মমতা বলেছেন, আমি বাংলার সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। জনগণ বুঝতে পেরেছে যে, বিরোধী দল মিথ্যা বলেছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি অনেক মানুষের নিশানা ছিলাম। কিন্তু ভোটাররা তার জবাব দিয়েছে।