প্রতিদিন একবারের বেশি কলড্রপ হলে প্রতিটি কলড্রপের বিপরীতে গ্রাহককে এক মিনিট কল ফেরত দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
আগামী ১ জুলাই থেকে এ নির্দেশনা চালু হবে। কলড্রপ কী পরিমাণ হচ্ছে বা এ সংক্রান্ত বিষয়াদি দেখভাল করার জন্য বিটিআরসি একটি টিম গঠন করবে বলেও জানান তিনি।
রোববার (১৫ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি। রিম/ সিম পুনর্নিবন্ধন সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩১ মের পর রিম-সিম আর রি-ভেরিফিকেশন হবে না।
তিনি বলেন, অনিবন্ধিত সিম ৩১ মে-র পর ২ মাস পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এরপর ওই গ্রাহক যদি ওই সিম নিবন্ধন করতে চান, তাহলে ওই গ্রাহককে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এ পর্যন্ত ৯ কোটি ৪০ লাখ সিম নিবন্ধন হয়েছে বলেও জানান তারানা হালিম।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক সভায় গ্রাহক কল ড্রপের শিকার হলে তার জন্য ক্ষতিপূরণ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় বিটিআরসিকে। সে অনুযায়ী, গত ১৯ জানুয়ারি কল ড্রপের ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক মিনিট কল ফেরত দেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা জারি করা হয়।
বিটিআরসির নির্ধারিত মান অনুযায়ী, মুঠোফোন কোম্পানিগুলোর কল ড্রপের হার ৩ শতাংশের কম হলে তা হবে মানসম্পন্ন সেবা। আর আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, কল ড্রপ ২ শতাংশের মধ্যে থাকলে তা গ্রহণযোগ্য। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এ হার ২ শতাংশ।
মুঠোফোন অপারেটররা ২০১৪ সালে গ্রাহকদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে কল ড্রপ সুবিধা চালু করে। ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম কল ড্রপ সুবিধা দেওয়া শুরু করে বাংলালিংক। আর গ্রামীণফোন একই বছরের ১ অক্টোবর থেকে গ্রাহকদের এ সুবিধা দেওয়া শুরু করে। তবে গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা এ সুবিধা বন্ধ করে দেয় অপারেটররা।
ভারতে ২০১৫ সাল থেকে কল ড্রপে ক্ষতিপূরণ সুবিধা চালু করা হয়েছে। দেশটিতে এক দিনে সর্বোচ্চ তিনবার করে মোট তিন মিনিট ক্ষতিপূরণ হিসেবে গ্রাহকদের দেওয়া হচ্ছে। ২০১৪ সালের পরীক্ষামূলক পদ্ধতিতে দেশের মোবাইল অপারেটররা এক দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ সেকেন্ড বা ৫ মিনিট ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল।