আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, পাকিস্তানের চোখ-রাঙানিতে বাংলাদেশ ভয় পায় না। দরকার হলে জাতিসংঘের সহায়তা নিয়ে পাকিস্তানি ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী সেনাসদস্যের বিচার করা হবে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় শেখ সেলিম এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৭ মে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বেলা তিনটার আলোচনা সভা সফল করতে এই যৌথ সভার আয়োজন করা হয়।
পাকিস্তানের উদ্দেশে শেখ সেলিম বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর কোনো অধিকার আপনাদের নেই। পাকিস্তান বাড়াবাড়ি করছে। আপনাদের মাথার বোঝা এখনো নামেনি। এখানে মানবতাবিরোধীদের বিচার হয়েছে। শিমলা চুক্তি করে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী সেনা সদস্যের বিচার হওয়ার কথা ছিল, আপনারা করেন নাই। দরকার হলে জাতিসংঘের সহায়তা নিয়ে সেই ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী সেনা সদস্যের বিচার করব।’
পাকিস্তান সরকারের উদ্দেশে সাবেক মন্ত্রী সেলিম বলেন, ‘তোমাদের সঙ্গে আমাদের এমন কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য নাই, মহব্বতও নাই। ওইখানে আমাদের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবা? দরকার হলে তোমাদের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক আমরা রাখব না।’
যৌথ সভায় পাকিস্তানের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে ১৯৭১ সালেই। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আপনাদের নাক গলানো কিংবা হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে আপনাদের এই ধৃষ্টতা দেখাবেন না। আপনাদের এই জংলি মনোভাব বাংলাদেশের মানুষ বরদাশত করবে না।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতর সভাপতিত্বে যৌথ সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ।