মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন, যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে বুধবার সকাল ১০টার পর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের এই অনুলিপি হস্তান্তর করেন।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশের আনুষ্ঠানিকতা সেরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখন থেকে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে ফলাফল পৌঁছে যাবে। অনলাইন এসএমএসেও পাওয়া যাবে ফলাফল। রেজাল্টের জন্য শিক্ষার্থীদের আর দৌড়-ঝাঁপ করতে হবে না।”
দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। তার পর থেকে শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবে।
মোট ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ তত্ত্বীয় এবং ৯ থেকে ১৪ মার্চ ব্যবহারিক পরীক্ষা হয়।
গত বছর এ পরীক্ষায় ৮৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৯০১ জন।
সেই হিসাবে এবার পাসের হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়লেও পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই হাজার ১৪০ জন কমেছে।
আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এবার এসএসসিতে ৮৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ৮৮ দশমিক ২২ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৮৩ দশমিক ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
মোট ২৮ হাজার ১৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এবার মাধ্যমিকে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৭৩৪টি স্কুল ও মাদ্রাসায় পাস করেছে সবাই। গতবছর শতভাগ পাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল ৫ হাজার ৯৫টি।
পাশের হারে এবার ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। ৮৮ দশমিক ২০ শতাংশ ছাত্রের বিপরীতে ৮৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ ছাত্রী মাধ্যমিকে পাস করেছে।