বাঁশখালীর গণ্ডামারায় সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার আগে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ‘বিভ্রান্তি তৈরি করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করা হয়েছিল’ বলে মনে করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মমিনুর রশিদের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি সোমবার জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনের কাছে পাঁচ পৃষ্ঠার যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে উঠে এসেছে এই পর্যবেক্ষণ।
জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘স্থানীয় জনগণকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্রের ‘পজিটিভ’ দিকগুলো জানানো হয়নি। এর মধ্য দিয়ে তাদের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।’
তদন্ত কমিটির প্রধান মমিনুর রশিদ বলেন, ‘ বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে স্বচ্ছ ধারণা ছিল না বলে তদন্তে দেখা গেছে।’
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাঁশখালীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘স্থানীয় এক বিএনপি নেতা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে ‘বিভ্রান্তি ছড়িয়ে স্থানীয় জনগণকে ভুল বুঝিয়েছিল।
এর মধ্য দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হয় বলে প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে।”
এপ্রিলের শুরুতে স্থানীয় বিএনপি নেতা লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে বসতভিটা রক্ষা কমিটির ব্যানারে স্থানীয়দের একটি অংশ এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের বিরোধিতায় আন্দোলন শুরু করে। তাদের অভিযোগ ছিল, এস আলম গ্রুপ পুনর্বাসনের সুযোগ না দিয়ে জোর করে জমি অধিগ্রহণ করছে।
স্থানীয়দের অন্য একটি অংশ ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষে অবস্থান নিলে দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির মধ্যে গত ৪ এপ্রিল বিকালে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।
প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।