সংঘর্ষের কারণ খুঁজতে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছরের ১০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিতে শীর্ষ পর্যায়ের পদগুলো পেয়ে যান সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন সমর্থিত প্রার্থীরা। সে সময় থেকেই এমপি আসলামুল হক আসলাম সমর্থিতদের মধ্যে পদ না পাওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। সেই ক্ষোভ থেকেই রোববার দু’ গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আওয়ামী লীগের ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি বলেন, ‘তুহিন আগামীবার দল থেকে মননোয়ন নিয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরিকল্পনা করছেন। এজন্যই তিনি তার পছন্দের দু’জনকে শাহ আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পাইয়েদেন। এ বিষয়টি নিয়ে দলের অন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভ থেকেই আজকের এই সংষর্ঘ।’
শাহ আলী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘মূলত দলীয় কোন্দল থেকেই সংঘর্ষে জড়ান দুই এমপির সমর্থকেরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলের দায়িত্বে থাকা শাহ আলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) জানান, সংঘর্ষে ওসি অপারেশন ফিরোজ হোসেন সহ এক ট্রাফিক কনেস্টেবল এবং এক আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের বর্তমানে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কোনো মামলা দায়ের হয়েছে কি না জানতে চাইলে মিরপুর বিভাগের পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) বলেন, ‘না, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। আহত সকলের সাথে কথা বলে পরবর্তিতে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’