বৈশাখ এলেই শুরু হয় হরেক রকম দেশি ফলের আবির্ভাব। এসময় রসালো ও সুস্বাদু কাঁঠাল থাকে ছোট। ছোট কাঁঠালকে এচোড় বলা হয়। এচোড় ফল হিসেবে খাওয়া না গেলেও এটা দিয়ে খুব মাজাদার সবজি রান্না করে খাওয়া যায়। কেউ কেউ ছোট মাছ দিয়ে চচ্চড়ি, বড় মাছ দিয়ে ঝোল বা মাংস দিয়ে ভুনা করে খেতে পছন্দ করেন।
রান্নার কৌশল জানা থাকলে অসাধারণ স্বাদের এই খাবারটি কেউ মিস করতে চান না। তাই দেখে নেয়া যাক মাংস দিয়ে কাঁচা কাঁঠাল ভুনা করার পদ্ধতি।
যা যা লাগবে:
-উচ্ছিষ্ট বাদ দিয়ে কাঁচা কাঁঠাল আধাকেজি,
-আধাকেজি গরু বা ছাগলের গোসত,
-পেঁয়াজ কুঁচি আধা কাপ,
-মরিচ গুড়া পরিমাণ মতো,
-হলুদ গুড়া এক চা চামচ,
-জিরা গুড়া এক চা চামচ,
-রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ,
-আদা বাটা ২ টেবিল চামচ,
-এলাচ ৪ টা,
-দারুচিনি ৪ টুকরো,
-কাঁচা মরিচ ৮ থেকে ১০টা,
-লবণ পরিমানমতো,
-সয়াবিন তেল আধাকাপ,
-পানি পরিমানমতো,
-আধা চামচ চিনি।
যেভাবে করবেন:
প্রথমে কড়াইতে পরিমাণমতো তেল দিয়ে মসলাগুলো সব কষিয়ে নিতে হবে। তারপর হলুদ, লবণ আর সামান্য পানি দিয়ে আরেকটু কষিয়ে নিন। মসলা ভালো করে ফুটে উঠলে মাংস দিয়ে ঢেকে মৃদু আঁচে সেদ্ধ হতে দিন। মাংস হয়ে এলে আগে থেকে ভাব দিয়ে রাখা কাঁঠাল দিয়ে আবারও এককাপ পানি দিতে হবে।
এবার আবার দশ মিনিট ঢেকে রান্না করতে হবে। মাঝে মাঝে নেড়ে দিলে পাতিলের নিচে লেগে যাবে না। পানি শুকিয়ে এলে লবণ মরিচ চেখে নামিয়ে আনুন।
এবার অন্য একটি পাত্রে পেঁয়াজ কুচি, আস্ত জিরা আর রসুন কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। পেঁয়াজে বাদামি রঙ আসলে পুরো সবজিটি ফোড়ন দিন। এবার তাতে সামান্য চিনি ছিটিয়ে দিন। এতে তরকারির স্বাদ ভালো হবে। আবার একটু নেড়ে শুকনা করে কাঁঠাল তরকারি নামিয়ে আনুন।
ব্যাস হয়ে গেল অসাধারণ স্বাদের কাঁঠালের এচোড় তরকারি।