এই সমাবেশকে ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে র্যাব ও পুলিশ। সন্ধ্যার আগেই সমাবেশ শেষ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার ডিসি বলেছেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটাতে না পারে, সে জন্য তারা যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। সমাবেশ স্থলেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে, যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে।
এদিকে রমনা জোনের সহকারী কমিশনার বলেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাদা পোশাকেও সমাবেশস্থলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে। এরপরেও কেউ যদি কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, তা হলে কঠোর হাতে দমন করা হবে।
র্যাবের পক্ষ থেকেও সমাবেশকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। র্যাবের পৃথক কয়েকটি টিম মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বড় যেকোনো সমাবেশে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে র্যাব কাজ করে। জনসাধরণের নিরাপত্তায় টহল ও অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন রাখা হয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনোভাবেই ব্যত্যয় না ঘটে, সে জন্য অনান্য সব বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে র্যাব।’
বেলা ১২টা থেকেই রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে তারা দলে দলে একত্রিত হন সমাবেশস্থলে। এ ছাড়া মৎস্য ভবন এলাকায়ও অনেক নেতাকর্মীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, গণতন্ত্রহীনতা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাষণ দেবেন।