কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তার নাম আনোয়ার হোসেন লিঙ্কন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তথ্যটি জানান কলাবাগান থানার ওসি।
তিনি জানান, সোমবার রাতে জোড়া খুনের পর প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী শার্টের রং মিলে যাওয়ায় লিঙ্কনকে আটক করা হয়। সে সেন্ট্রাল কলেজের ছাত্র।
তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় লিঙ্কনের সম্পৃক্ত থাকার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও জানান ওসি। এদিকে জোড়া খুনের ঘটনায় রাজধানীর কলাবাগান থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে রাজধানীর উত্তর ধানমণ্ডির ৩৫/এ আছিয়া নিবাসে জুলহাজ ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয়কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বত্তরা। এসময় টহল পুলিশের একটি পিকআপ ওই তেঁতুলতলা গলি দিয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু তারা তাদের ধরতে পারেননি। উল্টো তাদের হামলায় গুরুতর জখম হয়ে গ্রীনলাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন কলাবাগন থানা পুলিশের এএসআই মোমতাজ হোসেন।
এ ঘটনায় নিহত জুলহাজ মান্নানের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন সোমবার রাত ১২টার দিকে কলাবাগান থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার রাতে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে মামলা দুটি দায়ের করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে কলাবাগান থানার এসআই মাহমুদুল হাসান জানান, সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে নিহত জুলহাসের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলা নম্বর ৮।
এর কয়েক মিনিট পর ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে পুলিশের ওপর হামলা ও অস্ত্র আইনে এসআই শামীম আহমেদ বাদী হয়ে অপর মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ০৯।
মার্কিন দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি’র কর্মকর্তা ছিলেন।