২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে সাভারে নয়তলা ভবন রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ১শ ৩৫ জন নিহত হওয়ার খবর মিলেছে। আহত হন এক হাজার ৫শ ২৪ জন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন পোশাক শ্রমিক।
রানা প্লাজা ধসের পরে পচে-গলে শনাক্তের অনুপযোগী হওয়া হতভাগ্য ২শ ৯১ জনের মরদেহ জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে ডিএনএ টেস্টে প্রায় ২শ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। বাকিরা অজ্ঞাত রয়ে গেছেন।
দেশের সব শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। একই সঙ্গে ২৪ এপ্রিলকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
রোববার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে রানা প্লাজা ধসের তৃতীয়বার্ষিকী স্মরণে রাজধানীর জুরাইন কবরস্থনে নিহতের সমাধিস্থলে ফুল দিয়ে শ্রমিক সংগঠনের নেতার্কমীরা এ দাবি জানান।
তারা বলেন, স্বার্থান্বেষী মালিকপক্ষ নানাভাবে শ্রমিকদের ব্যবহার করতে চায়। সেটা আর করতে দেওয়া হবে না। শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত সুন্দর কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। কারণ, আমরা রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির মতো আর কোনো ঘটনা দেখতে চাই না।
সেদিন মালিকপক্ষ শ্রমিকদের জোর করে কারখানায় না ঢোকালে ওই মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হতে হতো না বলেও জানান তারা।
সমাধিস্থলে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ), শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম, গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়ন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ লেবার ওয়েলফার ফাউন্ডেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন, জাগো বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
এসময় নিহতের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন শ্রমিক লীগের প্রেসিডেন্ট শুক্কুর মাহমুদ।
অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার সাহারা হোসেন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, শ্রমিক নেতা ডা. ওয়াজেদ, মেজবাহ উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান।