প্রথম বলই অফ কাটার; বিভ্রান্ত ও পরাস্ত ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ওভারের পঞ্চম বলে আবারও একইরকম বিব্রতকর অভিজ্ঞতা নিউ জিল্যান্ডের এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানের। প্রথম দেখাতেই ম্যাককালামকে নিজের জাত চিনিয়ে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
যথারীতি মুস্তাফিজ দুর্বোধ্য ছিলেন পরের তিন ওভারেও। দারুণ বোলিং করেছেন তার সতীর্থরাও। প্রথম তিন ম্যাচ জিতে এবারের আইপিএলে একমাত্র অপরাজিত থাকা গুজরাট লায়ন্সকে মাটিতে নামিয়েছে মুস্তাফিজের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ; হারিয়েছে ১০ উইকেটে।
বোলারাই গড়ে দিয়েছিলেন জয়ের ভিত; ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানের বেশি করতে দেয়নি গুজরাটকে। রানটা পেরিয়ে যেতে যথেষ্ট ছিল সানরাইজার্সের উদ্বোধনী জুটিই। ডেভিড ওয়ার্নার ও শিখর ধাওয়ানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৪.৫ ওভারেই জিতে যায় সানরাইজার্স।
আগের ম্যাচে অপরাজিত ৯০ রানের পর ওয়ার্নার এবার অপরাজিত ৪৮ বলে ৭৪ রানে। প্রথম তিন ম্যাচে একবারও দুই অঙ্ক ছুঁতে না পারা ধাওয়ান এবার অপরাজিত ৪১ বলে ৫৩ রানে।
আগের ম্যাচগুলোর মতোই মুস্তাফিজকে পাওয়ার প্লেতে এক ওভার ও শেষের দিকে ৩ ওভার বোলিং করিয়েছেন ওয়ার্নার। ৪ ওভারে মুস্তাফিজ বাউন্ডারি হজম করেছেন মাত্র একটি। সেটিও দলের অধিনায়ক ওয়ার্নার বাজে ফিল্ডিং করেছিলেন বলে। ১৯ রান দিয়ে মুস্তাফিজ নিয়েছেন ১ উইকেট। অফ কাটারে বোল্ড করেছেন রবীন্দ্র জাদেজাকে।
প্রথম তিন ম্যাচেই অর্ধশতক করা অ্যারন ফিঞ্চকে (০) প্রথম ওভারেই ফেরান ভূবনেশ্বর কুমার। দ্বিতীয় উইকেটে ম্যাককালাম ও সুরেশ রায়না যোগ করেন ৫৬ রান। বাঁহাতি স্পিনার বিপুল শর্মার বলে ম্যাককালাম (১৮) আউট হওয়ার পর গুজরাট পায়নি আর কোনো উল্লেখযোগ্য জুটি। দলকে একটাই টেনেছেন অধিনায়ক রায়না।
প্রথম ওভারে উইকেটে গিয়ে শেষ ওভারে আউট হওয়া রায়না ৭৫ করেছেন ৫১ বলে। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছুঁয়েছেন ৬ হাজার টি-টোয়েন্টি রান। রায়না ও ম্যাককালাম ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন আর কেবল জাদেজাই (১৪)।
শেষ ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার ভুবনেশ্বর (৪/২৯)। তবে সবচেয়ে কিপটে বোলার ছিলেন মুস্তাফিজ। চার ম্যাচে এই প্রথম ওভারপ্রতি ছয়ের কম রান দিলেন বাংলাদেশের তরুণ সেনসেশন।