সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সংরক্ষিত তথ্য পেতে ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় দণ্ডিতদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের কথা শফিক রেহমান স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “শফিক রেহমান রিমান্ডে তথ্য দিচ্ছেন।”
যুক্তরাষ্ট্রে দণ্ডিত রিজভী আহমেদ সিজার, এফবিআই এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক এবং এই দুজনের মধ্যস্থতাকারী লাস্টিকের বন্ধু জোহানেস থালেরের সঙ্গে বৈঠকের কথা তিনি ‘স্বীকার করেছেন’।
জয় সম্পর্কে তথ্য পেতে লাস্টিককে ঘুষ দেওয়ার দায়ে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপি নেতার ছেলে সিজারের কারাদণ্ড হয়। দণ্ডিত হন লাস্টিক ও তার বন্ধু থালেরও।
সিজারের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মামলার রায়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে ‘অপহরণ, ভয় দেখানো ও ক্ষতি করার’ উদ্দেশ্যে তার সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টার কথা বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে ওই বিচারের পর সেখানে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ ষড়যন্ত্র’র অভিযোগে ঢাকায় মামলা করে বাংলাদেশ পুলিশ।
‘এরপর কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করতে দেরি হওয়ায় মামলা এগোয়নি’ বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল।
এখন কিছু নথি হাতে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “দুজনকে এরইমধ্যে আমরা শনাক্ত করেছি। তাদের একজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আরেকজনকে রিমান্ডে আনার প্রক্রিয়া চলছে।”
এদিকে বিফ্রিংয়ের পরপরই ১৫ ইস্কাটন গার্ডেন রোডে শফিক রেহমানের বাড়িতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করে ডিবির একজন কর্মকর্তা জানান, শফিক রেহমানের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে আরো তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য অভিযান চালানো হয়েছে।