একটি অসাধু চক্র দুর্নীতি করছে এই পর্যবেক্ষণ থেকে গাড়িতে করে ওয়াসার পানি বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। বুধবার সবিচালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ওয়াসাকে এই নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, “কিছু অসাধু চক্র পানি বিক্রি করে, এটা কমপ্লিটলি বন্ধ। আমার বাড়িতে যদি আমি পানি না পাই, ওয়াসার ডিউটি হলো আমার বাড়ি পর্যন্ত পানি পৌঁছে দেওয়া।”
মন্ত্রীর বাড়িতে ওয়াসার পানি পৌঁছে দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মোশাররফ বলেন, “আমি তো জনগণেরই প্রতিনিধি, নাকি?
“আমারটা দেবে মানে কি? আমার কি ল্যাজ একটা বেশি আছে নাকি? আমি পাইলে আপনারা সবাই পাবেন। পানি দেওয়ার দায়িত্ব ওয়াসার। যদি কোনো কারণে পানি সেখানে না যায় ওয়াসা যেভাবেই হোক, পানি সেখানে পৌঁছাবে।”
ওয়াসায় পানি বিক্রি বা কেনার পদ্ধতি থাকলেই সেখানে দুর্নীতি হবে বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। তিনি বলেন, “তখন পানির জার বিক্রির জন্য ইচ্ছে করে পানির স্বল্পতা সৃষ্টি করবে।”
রাজধানীর প্রায় দেড় কোটি মানুষের জন্য প্রতিদিন ২৩০ কোটি লিটার পানির চাহিদা থাকলেও এর বিপরীতে ওয়াসার উৎপাদন ক্ষমতা ২১০ কোটি লিটারের মতো। এর ৭৮ শতাংশ তোলা হয় গভীর নলকূপ দিয়ে, বাকিটা নদীর পানি।
শুকনো মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে গেলে প্রতি বছরই পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর কিছু এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্কটে পড়তে হয়। বাসার পাইপ লাইনে পানি না এলে বাসিন্দাদের ওয়াসার পানির গাড়ির অপেক্ষায় থাকতে হয়।
ওয়াসার এমডি তাকসিন এ খান জানান, ১০ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার বড় গাড়ি ৫০০ টাকা এবং ছয় হাজারের ছোট গাড়ির জন্য ৪০০ টাকা নিয়ে তারা এতোদিন ওইসব এলাকায় চাহিদা অনুযায়ী পানি দিয়ে আসছিলেন।
অবশ্য প্রতি গাড়ি পানির জন্য সংশ্লিষ্টদের ১২ শ’ থেকে দেড় হাজার টাকা গুণতে হতো বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বহুবার খবরও প্রকাশিত হয়েছে।