বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার পৃথক পৃথক আদালতে আত্মসমর্পণ ও হাজির হয়ে হত্যা-নাশকতা-রাষ্ট্রদ্রোহ ও দুর্নীতির পাঁচ মামলায় জামিন পেয়েছেন।
প্রথমে বেলা ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা তা মঞ্জুর করেন।
এর পর গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়ার মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে ঢাকার বিশেষ জজ-৩ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার জামিনের আদেশ দেন।
বেলা সোয়া ১২টায় ঢাকার মহানগর হাকিম জাকির হোসেনের আদালতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দেয়ায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালেদা জিয়া জামিন পান।
এরপর বেলা সাড়ে ১২টায় গুলশান থানার নাশকতার মামলায় ঢাকার মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন মঞ্জুর করেন।
সর্বশেষ বেলা ১টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় ঢাকার মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন।
এরপর বেলা ১টা ২৫ মিনিটে আদালত প্রাঙ্গন থেকে বেরিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করেন খালেদা জিয়া।
এর আগে সকাল সোয়া ৯টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা দিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় আদালত প্রাঙ্গনে পৌঁছান খালেদা জিয়া।
এর ১০ মিনিটর পর তিনি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলার আদালত কক্ষে যান। সেখানে গ্রেফতারি পরোয়ানা সংক্রান্ত যাত্রাবাড়ীর মামলায় আত্মসমর্পণ করে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন।
গত ৩০ মার্চ যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যার ঘটনায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত।