আপনার শিশুটি কি রোগা, পুষ্টিহীনতায় ভুগছে? কোন খাবার খেতে চায় না? এর কারণে শিশুটির স্বাস্থ্যও ভাল হচ্ছে না। প্রায় সব মায়েদের শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে অভিযোগ থাকে। শিশুটি খেতে চায় না, কোন খাবার খায় না, দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছে ইত্যাদি। কিছু খাবার আছে যা আপনার শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক খাবারগুলোর কথা:
১। মাখন: মাখন স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের অন্যতম উৎস। বড়দের মাখন খাওয়ায় কিছুটা সাবধান থাকতে হলেও শিশুদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। ওজন বৃদ্ধির জন্য শিশুর প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাখন রাখুন। তা হতে পারে মাখন রুটি বা অন্যকিছু। এটি দ্রুত শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
২। দুধ এবং ক্রিম: প্রাকৃতিক প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটস এর উৎস দুধ। প্রতিদিন দুই গ্লাস দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এছাড়া দুধের সর, ক্রিম ইত্যাদি বিভিন্ন খাবারে যুক্ত করে খাওয়াতে পারেন।
৩। ডিম: প্রোটিনের উৎস হিসেবে আমরা সবাই ডিমের কথা আমরা সবাই জানি। ১০০ গ্রাম ডিমে প্রায় ১৪ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। আর শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে প্রোটিনের ভুমিকা অপরিসীম। প্রতিদিনের খাবারে ডিম রাখুন। একটি ডিম প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, সবকিছুর চাহিদা পূরণ করে থাকে, যা শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।
৪। কলা: তাৎক্ষনিক শক্তি প্রদান করে থাকে যেসকল ফল তার মধ্যে কলা অন্যতম। একটি কলায় ১০৫ ক্যালরি রয়েছে! এতে কার্বোহাইড্রেট এবং কিছু স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। দুধ এবং কলা দিয়ে কলার মিল্কশেক তৈরি করে খাওয়াতে পারেন।
৫। অ্যাভোকাডো: ওজন বৃদ্ধির জন্য এই ফলটি বেশ কার্যকর। এতে ফ্যাট, ক্যালরি সবকিছু একসাথে পাওয়া যায়। এর পুষ্টি উপাদান ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দ্রুত ফল পেতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অ্যাভোকাডো রাখুন।
৬। আলু: আপনি যদি আপনার শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে চান, তবে প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০% কার্বোহাইড্রেট খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। আর কার্বোহাইড্রেটের সবচেয়ে ভাল উৎস হল আলু। আলুতে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এই খাবারগুলোর পাশাপাশি মুরগির মাংস, মৌসুমী ফল, ওটস, ঘি ইত্যাদি খাবার শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। এই খাবারগুলোও আপনার শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।