গতবছর বর্ষবরণের উৎসবে নারীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনার প্রেক্ষাপটে এবার পহেলা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে বলেছে সরকার। সেই সঙ্গে বাংলা পঞ্জিকার নতুন বছরের প্রথম দিন সন্ধ্যা ৬টার পর সব ধরনের জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মুখোশে মুখ ঢেকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ এবং ভুভুজেলা বা বিকট আওয়াজের বাঁশি ব্যবহারেও এসেছে কড়াকড়ি।
রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে খালি করতে হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা।
তিনি আরও বলেন, পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে পর্যাপ্ত সংখ্যক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাসহ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আগের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা এবার বেশ সতর্কতা অবলম্বন করেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে।’
তিনি বলেন, পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
গত বছরের নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় কাউকে চিহ্নিত করা গেছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। ব্যাপক ভিড় থাকে। সিসিটিভির ফুটেজ অস্পষ্ট, পরিষ্কার বোঝা যায় না। তার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক চেষ্টা করে একজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।