পুলিশ এখন থেকে রাজধানীর দুই কোটি নাগরিকের সঙ্গে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ কথা বলবে, এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর গাউসিয়া মোড়ে বিট পুলিশিং সমাবেশ-২০১৬ তে তিনি এ কথ জানান। সমাবেশটির আয়োজন করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ।
তিনি বলেন,‘বিটের অফিসাররা সকল রাজধানীবাসীর কাছে যাবে, তাদের সমস্যার কথা শুনবে এবং তাদের বিপদে সহায়তা করবে। নগরীর সকল বাড়িওয়ালা, ভাড়াটিয়া ও ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট ওই এলাকার সবার তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। নগরীর সব নাগরিকের তথ্য সংশ্লিষ্ট থানায় থাকলে অপরাধীরা অপরাধ করতে ভয়ও পাবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুলিশই জনগণ, জনগণই পুলিশ। পুলিশ জনগণের নিরাপত্তা দিবে, শৃঙ্খলার মধ্যে রাখবে। পুলিশ জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করবে। পুলিশ জনগণকে হয়রানি করবে এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যাবে না। সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে আমরা রাজধানীকে সম্পূর্ণ নিরাপদ নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো।’
তিনি বলেন, ‘নাগরিকদের দেয়া তথ্য সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে। এ তথ্য শুধুমাত্র অপরাধীদের খুঁজে বের করার কাজে ব্যবহৃত হবে। এ তথ্য কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সাংবাদিকসহ কাউকে দেয়া হবে না। প্রতিটি থানায় ১০ জন করে পুলিশ সদস্যকে আইটি ট্রেনিং ও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। যাতে করে তারা প্রাপ্ত তথ্যগুলো সঠিকভাবে নিবন্ধন করতে পারে।’
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) বলেন, পুলিশ-জনগণের সম্পৃক্ততায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। বাড়িওয়ালার কাছে তথ্য না থাকায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সকলের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার বলেন, নগরবাসীর তথ্য সংগ্রহের জন্য বিট পুলিশ কাজ করছে। প্রতিটি থানা এলাকার সংশ্লিষ্ট বিটের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তাদের তথ্য নিবে, জনগণকে সহায়তা করবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডিএমপি’র যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম), উপকমিশনার (মিডিয়া), রমনা জোনের সহকারী কমিশনার, রমনা থানার, নিউমার্কেট থানার ওসি, গাউসিয়া মার্কেট সমিতির সভাপতি, ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি প্রমুখ।