সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে কয়লা বোঝাই কোস্টার ডুবির ঘটনায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করেছে বন বিভাগ।
এদিকে নতুন করে দুর্ঘটনা এড়াতে শ্যালা নদীতে বাণিজ্যিক নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
কোস্টারডুবির পর ৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার কাজ শুরু করা যায়নি। কবে নাগাদ শুরু করা যাবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এক হাজার ২৩৫ টন কয়লা নিয়ে যশোরের নওয়াপাড়ায় যাওয়ার পথে শনিবার বিকালে সি হর্স-১ নামের নৌযানটির তলা ফেটে গেলে সেটি সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীতে ডুবে যায়।
কোস্টার ডুবির পর রোববার রাতে জাহাজের মাস্টার সিরাজুল ইসলাম শরণখোলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সোমবার সকালে শরণখোলা থানায় গিয়ে কোস্টারের মালিকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করেন চাঁদপাই রেঞ্জের ফরেস্টার সুলতান মাহমুদ।
আসামিরা হলেন, কোস্টার সি হর্স-১ এর মালিক মনিরা কবির, কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের হালিশহরের সমতা শিপিং ট্রেডার্সের মালিক মো. আজিজুর রহমান, ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন, কোস্টারের মাস্টার সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, চালক ইসমাইল ফরাজী এবং সুকানি সাইদুল ইসলাম।
২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে অয়েল ট্যাঙ্কার ডোবার পরও একবার এই নৌপথটি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল। তবে মংলা বন্দরের বিকল্প নৌপথ মংলা-ঘষিয়াখালী বন্ধ থাকায় কিছুদিনের মাথায় শ্যালা নৌপথটি পুনরায় চালু করে বিআইডব্লিউটিএ।