যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড বহালের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, যার মধ্য দিয়ে সাজা কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরুর পথ তৈরি হলো।
মুক্তিযুদ্ধকালীন অপরাধের দায়ে একাত্তরের আলবদরপ্রধান মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি গতকাল সন্ধ্যায়ই আপিল বিভাগ থেকে পাঠানো হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ট্রাইব্যুনাল রাতেই মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারাগারে পাঠিয়েছেন।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিষ্ঠুর ও বর্বর অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন নিজামী। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধকালীন আলবদর বাহিনীর নৃশংসতার দায় ওই বাহিনীর নেতা হিসেবে মতিউর রহমান নিজামী এড়াতে পারেন না। সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে আদালত মনে করেন, আলবদর বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ছিল নিজামীর হাতে। এ কারণে তিনি আলবদর বাহিনী দ্বারা সংঘটিত বুদ্ধিজীবী হত্যা, গণহত্যার মতো অপরাধের দায়ে দোষী এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই তাঁর প্রাপ্য।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর এর রিভিউ বা পুনর্বিবেচনা চাইলে সে জন্য ১৫ দিন সময় পাবেন নিজামী। নিয়ম অনুযায়ী এ সময়ের মধ্যে নিজামী রিভিউ আবেদন করলে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর স্থগিত থাকবে। আর রিভিউ আবেদন খারিজ হলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করতে পারবেন আসামি। রিভিউ ও প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হলে যেকোনো সময় ফাঁসি কার্যকর করবে সরকার।