৩ মার্চ হাইকোর্টে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া নিজে এই রিট আবেদনটি করেন। তিনি বলেন, রিট আবেদনে তিনটি বিষয়ে আদালতের কাছে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। প্রথমত, তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম যেন এই মুহূর্তে বন্ধ করা হয়। দ্বিতীয়ত, ইতিমধ্যে যেসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তা যেন কোনো কাজে ব্যবহার না করা হয়। তৃতীয়ত, সুনির্দিষ্ট আইন না হওয়া পর্যন্ত যেন এসব সংগৃহীত তথ্য গোপনীয়ভাবে সংরক্ষণ করা হয়। আইন ও স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনের পক্ষে জ্যোতির্ময়ের যুক্তি, নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য পুলিশ যেভাবে সংগ্রহ করছে, তার অপব্যবহার হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা আছে। এসব তথ্য যদি কোনো ভুল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে পড়ে, তাহলে ব্যক্তির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা আছে। সংবিধানে নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, পুলিশের এ উদ্যোগে সেটাও লঙ্ঘিত হতে পারে।
সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন বাড়িতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আস্তানা ও বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়ার পর বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটেদের তথ্য সংগ্রহের এই কাজ শুরু করে মহানগর পুলিশ। এক পৃষ্ঠার যে ফরম ভাড়াটেদের পূরণ করতে দেওয়া হচ্ছে, সেখানে ছবির পাশাপাশি তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, ফোন নম্বর, জন্মতারিখসহ বাসার বাসিন্দা এবং গৃহকর্মী ও গাড়িচালকের তথ্য চাওয়া হয়েছে।