ঢাকা থেকে পণ্যবাহী বিমান সরাসরি প্রবেশের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা তুলতে দ্রুত উদ্যোগী হতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের রপ্তানির সবচেয়ে বড় খাত পোশাক শিল্প মালিকরা। ইউরোপের দেশটির এই পদক্ষেপে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্নের পাশাপাশি রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষতির দিকটি তুলে ধরে বৃহস্পতিবার এক সংবা্দ সম্মেলনে এই দাবি জানায় বিজিএমইএ।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য সরকার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ঢাকা থেকে যুক্তরাজ্যগামী কার্গো বিমানের সরাসরি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কথা জানায়।
এতে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রতিনিয়তই বাড়ছে। তাই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে সরকারি পর্যায়ে আলোচনা করে দ্রুত সমাধান হওয়া জরুরি।
“যুক্তরাজ্য কোন কারণ দেখিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা জানতে হবে এবং প্রয়োজনে সমস্যার সমাধানে একটি ক্র্যাশ প্রোগ্রাম গ্রহণ করতে হবে।”
নিরাপত্তা বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা সরকার ইতোমধ্যে জানিয়েছে এবং তা তদারকে বিমানমন্ত্রী শাহজালাল বিমানবন্দরে অফিস করবেন বলেও জানানো হয়েছে।
“সরকারকে অনুরোধ করছি, অবনতিবিলম্বে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে বসে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদারে সরকার কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা অবহিত করুন,” বলেন সিদ্দিকুর।
যুক্তরাজ্যের তিন মাস আগে একই কারণ দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া সরকারও আকাশ পথে ঢাকা থেকে যে কোনো পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর ফলে পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এখন নতুন করে যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপ ইউরোপের অন্যান্য দেশে রপ্তানির উপরও প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা বিজিএমইএ সভাপতির।
ব্যয় সাশ্রয়ী বলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক মূলত সমুদ্রপথেই রপ্তানি হয়। তবে কখনও জাহাজে পণ্য পাঠানো সম্ভব না হলে কিংবা দেরি এড়াতে বিমানে পাঠানো হয়।
নিষেধা্জ্ঞার কারণে এখন যুক্তরাজ্যে পণ্য পাঠাতে হলে সিঙ্গাপুর, হংকং, থাইল্যান্ড কিংবা দুবাই হয়ে পাঠাতে হবে, যাতে খরচও বাড়বে, সময়ও বেশি লাগবে।