ইসলামিক স্টেট নিয়ে মোহভঙ্গের পর এই জঙ্গি গোষ্ঠীর সাবেক এক সদস্য সংবাদকর্মীদের হাতে একটি মেমোরি স্টিক তুলে দিয়েছেন, যাতে অন্তত ৪০টি দেশের ২২ হাজার আইএস সমর্থকের তথ্য রয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মান, ব্রিটিশ ও সিরিয়ার সরকারবিরোধী সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া আইএস-এর সেই ‘চোরাই তথ্য’ পরীক্ষা করে দেখছেন জার্মানির কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো।
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থমাস ডি মাইজিয়েরেকে উদ্ধৃত করে বিবিসি লিখেছে, এসব দলিল আসল বলেই তারা মনে করছেন।
ফাঁস হওয়া দলিলপত্রের মধ্যে রয়েছে নতুন সদস্য নিয়োগের সময় যেসব তথ্য সংগ্রহ করা হতো তেমন একটি প্রশ্নপত্র।
প্রায় বাইশ হাজার আইএস যোদ্ধার নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বরসহ ব্যক্তিগত পরিচয় সংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণ।
বিভিন্ন সময় নিহত হয়েছে এমন আইএস যোদ্ধাদের বিস্তারিত তথ্যও রয়েছে সেই সব নথিতে।
গোয়েন্দারা বলছেন, এসব দলিলপত্র থেকে আরো জানা যাচ্ছে যে, আইএস পৃথিবীর অন্তত ৪০টি দেশ থেকে কর্মী নিয়োগ করেছে।
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস ডে মাইজিয়েরে বলেছেন, আইএস-এর প্রকৃত চরিত্র সম্পর্ক সঠিক ভাবে জানতে এই নথিগুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলছেন যে, নিরাপত্তা বিষয়ক কর্তৃপক্ষের মতে, এই সকল নথি সত্য।
এগুলো প্রমাণ দিচ্ছে যে আইএস-এর মতন একটি অপরাধী সংগঠন কতটা ধর্মভীরু আর কতটা কার্যকর।
কাতার ভিত্তিক সিরিয় একটি ওয়েবসাইটে আরবী ভাষায় প্রথম এই দলিলগুলো প্রকাশ করা হয়েছিল।
জার্মানির সন্ত্রাস বিরোধী পুলিশ এখন এসব তথ্যের সত্যতা যাচাই করে দেখার জন্য মিত্র দেশগুলোর সাথে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করবে বলে জানা যাচ্ছে।