...
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

অর্থ লোপাটের তদন্তে সিলিকন ভ্যালির কোম্পানি ফায়ারআই

যা যা মিস করেছেন

Fire Eye the mail bd

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শক ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিক্স অর্থ লোপাটের তদন্তে সিলিকন ভ্যালির কোম্পানি ফায়ারআইকে সম্পৃক্ত করেছে বলে জানা গেছে।  এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় বড় সাইবার চুরির ঘটনাগুলোর বেশ কয়েকটির তদন্ত করেছে ফায়ারআই।  খবর রয়টার্সের।

ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিক্স-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী রাকেশ আসথানা এর প্রতিষ্ঠাতা।  তিনি বিশ্বব্যাংকের সাবেক উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব সূত্রের ভাষ্য, রাকেশ আসথানাই এই তদন্তে সহযোগিতা করতে ফায়ারআইকে নিয়োগ করেছেন।

ওই দুই সূত্রের একজন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, নিউইয়র্কের রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ হ্যাকাররা কীভাবে চুরি করেছে, এ বিষয়ে তদন্ত কাজে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন সরকার।

ওই কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের বড় ধরনের এই চুরির ঘটনা তদন্তের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) ও মার্কিন বিচার বিভাগের অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা হয়েছে।

অর্থ চুরির প্রায় মাস খানেক পর প্রকাশিত এ ঘটনা সম্পর্কে এফবিআই, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা, বিচার বিভাগ ও রাজস্ব বিভাগের ক্রাইমস এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক মুখ খুলতে চায়নি।

এ ব্যাপারে নিউইয়র্কের রিজার্ভ ব্যাংকও তেমন কোনো তথ্য দেয়নি।  তারা শুধু বলেছে, এ অর্থ চুরির ক্ষেত্রে তাদের ব্যবস্থাগত কোনো ত্রুটি ছিল না এবং তারা তদন্তের ব্যাপারে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

রয়টার্স বলছে, হ্যাকাররা কীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেটওয়ার্কে ঢুকেছে, লুট হওয়া অর্থ কোথায় কোথায় গেছে এবং কোনো অর্থ উদ্ধার করা যাবে কি না—এসব প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত থেকে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়, হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে ঢুকেই পেমেন্ট ট্রান্সফারের ক্রেডেনশিয়াল চুরি করে।  এরপর ভুয়া সুইফট মেসেজের মাধ্যমে ফেডারেল রিজার্ভকে অর্থ স্থানান্তরের অনুরোধ পাঠানো হয়।

ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে এক সপ্তাহের মধ্যে এ রকম প্রায় তিন ডজন অনুরোধ যায় ফেডারেল রিজার্ভে।  বিভিন্ন হিসাবে সব মিলিয়ে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার স্থানান্তর করতে বলা হয়।  এর মধ্যে চারটি অনুরোধের বিপরীতে ফিলিপাইনের এক ব্যাংকের পাঁচটি হিসাবে মোট আট কোটি ১০ লাখ ডলার পাঠায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ।  ভুল বানানে শ্রীলঙ্কার একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের হিসাবে দুই কোটি ডলার পাঠানোর পঞ্চম অনুরোধে সন্দেহ জাগলে অর্থ আর পাঠানো হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, তারা চুরি যাওয়া অর্থের কিছুটা উদ্ধার করতে পেরেছে।  বাকি অর্থ উদ্ধার করতে ফিলিপাইনের অর্থ পাচার বিরোধী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.