বনশ্রীর আলোচিত দুই শিশু হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মারুফ হোসেন সর্দার জানান, রোববার রাতে থানা পুলিশের কাছ থেকে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
মা মাহফুজা মালেক জেসমিন জিজ্ঞাসাবাদে তার দুই সন্তান নুসরাত আমান অরণী (১৪) ও আলভী আমানকে (৬) হত্যার ‘স্বীকারোক্তি’ দিয়েছেন বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হলে গত বৃহস্পতিবার দুই শিশুর বাবা আমানুল্লাহ রামপুরা থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় মাহফুজাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
অরণী ও আলভীকে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রামপুরা বনশ্রীর বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
চাইনিজ রেস্তোরাঁ থেকে আনা খাবার খেয়ে শিশু দুটির মৃত্যুর সন্দেহের কথা পরিবারের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়েছিল। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বনশ্রীর ওই রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারও করেছিল পুলিশ। কিন্তু পরদিন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা হত্যাকাণ্ডের আলামত পাওয়ার কথা জানালে তদন্তের দিক বদলে যায়।
এরপর পুলিশের সঙ্গে র্যাব তদন্তে নামে। ঢাকায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জামালপুরে গিয়ে শিশু দুটির বাবা-মা ও খালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
ওই জিজ্ঞাসাবাদেই মাহফুজা সন্তানদের ‘ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা’ থেকে নিজের স্কুলপড়ুয়া দুই ছেলে-মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেন বলে র্যাব জানায়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদেও মাহফুজা একই কথা বলেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।