ওয়ান-ইলেভেনের ‘কেঁচো খুঁড়তে গেলে সাপ বেরিয়ে পড়বে’ বলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। “কেঁচো খুঁড়তে গেলে বিষধর সাপ বেরিয়ে আসবে। তাদের (বিএনপির) ঘরের শত্রু বিভীষণ কে? এটা তাদের বের করতে হবে, ” বলেছেন তিনি।
ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবদের বিচারের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাদের কথায় আসার পর তাদের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলে খালেদা জিয়া দুদিন আগে বলেছিলেন, তাদের সঙ্গে ‘আঁতাত’ করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল।
তার ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “সেদিন গ্রেপ্তার তো অনেকেই হয়েছিল। প্রথম গ্রেপ্তার হওয়ার কথা ছিল সরকারি দলের নেতাদের। কিন্তু সেখানে প্রথমেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আমাদের নেত্রী।
“তাকে (শেখ হাসিনা) কীভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটা জাতি দেখেছে। তার সঙ্গে ওই সময় কী দুর্ব্যবহার করা হয়েছে, কোর্টে কীভাবে তাকে টানা-হেঁচড়া করা হয়েছে- সেই ইতিহাস কি এই দেশের মানুষ ভুলে গেছে?”
“কাজেই আমাদের অনেক কষ্ট আছে। কিন্তু দেশের স্বার্থে অনেকেই ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় আমি বলতে পারি- ক্ষমা করে দিয়েছি, কিন্তু ভুলে যাইনি,” বলেন জরুরি অবস্থার সময় কারাবন্দি ওবায়দুল কাদের।
৭ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা সফল করতে দলের ঢাকার আশপাশের জেলার নেতাদের সঙ্গে যৌথসভার পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন ওবায়দুল কাদের।
জিয়াউর রহমানকে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ বলার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “মরহুম জিয়াউর রহমান নিজেই বলেছিলেন, আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করছি, আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে।
“সে দিন জিয়াউর রহমানের ঘোষণা পাঠের যে একটা তাৎপর্য ছিল, সেটা আমরা অস্বীকার করব না। তিনি ঘোষণার পাঠক ছিলেন, ঘোষক ছিলেন না। এই দাবি তিনি করতে পারেন না। তিনি বোধহয় কোনো দিন করেননি। তার মৃত্যুর পর তার দল করছে।”
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কাদের বলেন, “জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার পর বিচিত্রা এবং দৈনিক বাংলায় একটা নিবন্ধ লিখেছিল। সেই নিবন্ধে তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণে আমরা স্বাধীনতার গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে গিয়েছিলাম।
“দুর্ভাগ্য, আজকে জিয়াউর রহমানের দল ৭ মার্চ পালন করে না। অথচ জিয়াউর রহমান সাহেব নিজেই বলেছেন, এই ভাষণটি ছিল স্বাধীনতার গ্রিন সিগন্যাল।”