রমনা পার্ক রক্ষার্থে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ছাড়া সেখানে আর কোনো অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘রমনা পার্ক : সৌন্দর্য, উপযোগিতা ও ঐতিহ্য সুরক্ষা’ শীর্ষক এক সেমিনারে পরিবেশবিদদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, রমনা পার্কের ঐতিহ্যবাহী বৃক্ষ ও গাছ সংরক্ষণ, প্রয়োজনীয় বৃক্ষ রোপন, অপ্রয়োজনীয় গাছ অপসারণ ও সৌন্দর্য বর্ধনে যা কিছু করণীয়- সেসব বিষয়ে এ সংক্রান্ত কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।
“সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক, আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে।”
রমনার বটমূলে বর্ষবরণের এই ছবি বাংলা ১৪২২ সনের; ছায়ানটের এই বর্ষবরণ আয়োজন ছাড়া পার্কটিতে আর কোনো অনুষ্ঠান করতে অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মোশাররফ জানান, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ এসব এলাকার সৌন্দর্যবর্ধনে একটি সবুজ ও দৃষ্টিনন্দন বলয় গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার মাস্টারপ্লানও তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এই আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
সভায় স্থপতি তুঘলক আজাদ জানান, ৬৮৫ একর জায়গায় গড়ে তোলা রমনা পার্কে কুসুম বিথি, সোনালু, নাগেশ্বর বিথি, অশোক, শতবর্ষী মহুয়া, শতবর্ষী দেশি গাব গাছ, দেশি বাদাম, অঞ্জন, বটসহ ২০ প্রকারের গাছ রয়েছে।
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও নগর পরিকল্পনাবিদ, গবেষক ও পরিবেশবিদরা উপস্থিত ছিলেন।