পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় করা মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার এ আদেশ দেন।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার মো. কামালের মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে আজ মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার দিন ছিল। চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদালত তা গ্রহণ করে। আদালত পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোকে (পিআইবি) তদন্ত করে ২৩ মার্চের মধ্যে অধিকতর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েকজন নারী লাঞ্ছনার ঘটনার এই মামলায় ৮ আসামিকে শনাক্ত করেছিল পুলিশ। তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আসামিদের নাম-ঠিকানা না পাওয়ার অযুহাতে ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।
পুলিশের দাখিলকৃত ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণও করে ট্রাইব্যুনাল। পরে শনাক্তকৃত আসামিদের মধ্যে মো. কামাল গ্রেপ্তার হলে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলাটি পুনঃতদন্তের আবেদন করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত কামাল ২ দিনের রিমান্ড শেষে বর্তমানে কারাগারে আছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েকজন নারী লাঞ্ছনার ঘটনা হয়। কেউ এ নিয়ে মামলা না করায় পুলিশ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
তদন্তকালে মামলার ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ ও সাক্ষীদের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ৮ জনকে শনাক্ত করা হয়। শনাক্ত ৮ আসামির ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইলেকট্রনিক ও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
বর্ষবরণের ওইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসহ আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত ভিড় ছিল। ভিড়ের মধ্যে সংঘবদ্ধ একদল দুর্বৃত্ত ঘটনাস্থলে কয়েকজন নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। দুর্বৃত্তরা ভিড়ের মধ্যে কয়েকজন নারীর শাড়ি ধরে টান দেয়।