জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই তারকাকে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে বেছে নিতে তাই জাতিসংঘের খুব একটা চিন্তা করতে হয়নি। কারণ তরুণ প্রজন্মের আইডল হয়ে উঠেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। নতুন এই দূতকে এখন থেকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বিভিন্ন কল্যাণ ও সচেতনতামূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাবে।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছিল আলোচনা। তাঁর খেলোয়াড়ি ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও নেওয়া হয়েছে অনেক খোঁজখবর। যাচাই করা হয়েছে দেশের সর্বসাধারণের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা ও রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা।
সবকিছুতেই দশে দশ পেয়ে বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তিত্ব হিসেবে জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার কথা। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের অধিনায়কও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘জাতিসংঘের ঢাকা অফিস থেকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমাকে জানানো হয়েছে, আমাকে তাদের শুভেচ্ছাদূত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো কাগজপত্র এখনো পাইনি।’
অবশ্য জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গত কিছুদিনের আলোচনার সূত্র ধরেই শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিজের দায়িত্বটা বুঝতে পারছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘শুনেছি একটা দেশ থেকে এ রকম একজনকেই নেওয়া হয়। আর্জেন্টিনায় যেমন লিওনেল মেসি, শ্রীলঙ্কায় মুত্তিয়া মুরালিধরন। মাস খানেক ধরে আমার সঙ্গে কথা বলে এবং অনেক খোঁজখবর নিয়ে ওনারা এটি করেছেন বলে শুনেছি।’
বাংলাদেশ থেকে এর আগে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হয়েছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ।
তবে বাংলাদেশের কারও জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হওয়াটা হবে এটাই প্রথম। ‘জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আমার কাজের পরিধি হবে অনেক বড়। ইউনেসকো ও ইউনিসেফের মতো তাদের যেকোনো অঙ্গসংগঠনের হয়েই আমাকে কাজ করতে হতে পারে। আমি মনে করি, এটা শুধু আমার নয়, পুরো দেশের জন্যই একটা গর্বের ব্যাপার।’
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।
প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।