দেশের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করা রোহিঙ্গা শুমারি শুরু হয়েছে। রোহিঙ্গাদের বসবাস রয়েছে এমন ছয়টি জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও পটুয়াখালীতে একযোগে এ শুমারি শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় শুক্রবার সকাল থেকে কক্সবাজারে এ শুমারি কাজ শুরু হয়।
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের লেদার দু’টি শরণার্থী ক্যাম্পে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা রয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার। এছাড়া কুতুপালং, লেদা ও শামলাপুরে রয়েছে আরও তিনটি অনিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্প। এ তিনটি অনিবন্ধিত ক্যাম্পসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অন্তত আরও পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।
যাদের কোনো সঠিক পরিসংখ্যান সরকারের কাছে নেই। পরিসংখ্যান ব্যুরো কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জানান, শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ শুমারির মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক তালিকা তৈরির কাজ চলবে বুধবার পর্যন্ত।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে কক্সবাজারসহ এমন ছয়টি জেলায় শুমারি চলবে। তিনি আরও জানান, শুক্রবার থেকে বুধবার পর্যন্ত চলবে প্রাথমিক তালিকা তৈরির কাজ।
কক্সবাজার জেলায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য বসবাস রয়েছে এমন এলাকাকে ৪৯টি জোনে ভাগ করে তালিকা তৈরির কাজ চলছে। এই ৪৯টি জোনে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিক ও রোহিঙ্গা সবারই প্রাথমিক তালিকা তৈরি করবে শুমারি কাজে নিয়োজিতরা।
পরে সংগৃহীত তালিকা থেকে যাছাই বাছাই করে শুধুমাত্র রোহিঙ্গাদের আলাদা তালিকা তৈরি করা হবে। মার্চের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের তালিকাভূক্তির চূড়ান্ত শুমারি হবে।
এরপর তালিকাভূক্ত রোহিঙ্গাদের মাঝে পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে। কক্সবাজারে এক হাজার ৯০ জন গণনাকারী ও ১১০ জন সুপারভাইজার মাঠ পর্যায়ে শুমারির জন্য প্রাথমিক তালিকা তৈরির কাজ করছেন বলেও জানান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ।