বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১১, ২০২৪

হত্যাকাণ্ডের চার বছর কিন্তু এখনও কোনো ক্লু উদ্ঘাটন হয়নি

যা যা মিস করেছেন

Sagor Runi the mail bd

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ডের চার বছর পূর্ণ হল আজ।  কিন্তু সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার পরও চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার কোনো ক্লু উদ্ঘাটন করতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।  ঘটনার চার বছরের মাথায় এসে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেছেন, এখনও সাগর সরোয়ারের ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপের সন্ধান করে যাচ্ছেন তারা। 

রাজধানীর রাজাবাজারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে এই ল্যাপটপটি খোয়া যায়।  তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ধারণা ল্যাপটপটি উদ্ধার করতে পারলেই এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা অনেকটা সহজ হবে।

দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছেন সাগর সরোয়ারের মা সালেহা মনির।  আর র‌্যাবের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রুনির ভাই ও মামলার বাদী নওশের আলম রোমান।  তবে সাগর-রুনী হত্যা মামলার বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বহু বলেছি।  আর এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না।  সরকারের অন্য মন্ত্রীদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইতে পারেন।’

হত্যাকাণ্ডের পর এ পর্যন্ত গত ৪৮ মাসে কমপক্ষে ৩০ বারেরও অধিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছানো হয়েছে।

এ পর্যন্ত তদন্তে ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজন, নিহতের আত্মীয়স্বজন, নিহতদের অফিসের সহকর্মী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিসহ মোট ১৫০ জন ব্যাক্তি জবানবব্দি ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬১ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

এ মামলাটিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন, নিহত রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান, বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।  আসামিদের মধ্যে তানভীর জামিনে আছেন।

ওই হত্যাকান্ডের ৮ মাস পর ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর বনানী থানার একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া  ৫ আসামি যথাক্রমে মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুণ, রফিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে  রিমান্ড নেওয়া হয়।

ওইদিনই আরও দুই আসামি রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান ও বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পালকেও গ্রেফতার করা হয়।  পরে গ্রেপ্তার করা হয় অপর দারোয়ান আসামি এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিরকে।

র‌্যাবের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুজ্জামানের উপস্থিতিতে সাগর-রুনির লাশ তোলা হয়।  পরীক্ষার ফলাফলে নিহত সাগর-রুনিকে হত্যার আগে কোনো নেশাজাতীয় খাবার বা পানীয় বা কোনো বিষের আলামত পাওয়া যায়নি।

এরপর ২০১২ সালের ৭ জুন থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত জব্দকৃত আলামতের সঙ্গে ম্যাচিং করার জন্য ৮ আসামি ও সন্দেহভাজন ২১ আত্মীয়ের নমুনা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের বছর ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।  পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security