পার্বত্য শান্তি চুক্তি সকল ধারা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সামরিক শক্তি দিয়ে নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিক ভাবে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। শত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই আমরা পার্বত্য শান্তি চুক্তি করেছিলাম। ইতোমধ্যে অনেক ধারাই বাস্তবায়ন হয়েছে। আগামীতে শান্তি চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হবে। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন।
সম্পূরক প্রশ্নে পার্বত্য রাঙামাটির সংসদ সদস্য জনসংহতি নেতা উষাতন তালুকদার ‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি কবে সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হবে? জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে বিষয়গুলো এখনও হয়নি, সেগুলো করা হবে…. যে ধারাগুলো এখনও বাস্তবায়িত হয়নি, সেটা আমরা বাস্তবায়ন করব।’
তিনি আরো বলেন, ‘পার্বত্যবাসী আমাদের দেশেরই নাগরিক, সুখ-দুঃখের সাথী। তাদের যদি কোনো দুঃখ থাকে, তা নিরসনের দায়িত্ব আমাদেরই।’
১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় জনসংহতি সমিতির সঙ্গে সরকারের শান্তি চুক্তি হয়। এর মধ্য দিয়ে পাহাড়ে কয়েক দশকের হানাহানি বন্ধ হয়।
শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে জনসংহতি সমিতির নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার (সন্তু লারমার) ক্ষোভের প্রেক্ষাপটে বুধবার সংসদে প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান সরকার প্রধান।
সরকারদলীয় সাংসদ শামসুল হক চৌধুরীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে এয়ারপোর্ট করতে হলে পাহাড় কেটে করতে হবে। সেটা পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য ভালো হবে না। আমরা রাস্তা করে দিচ্ছি। কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বেশি দূরে নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য রাস্তা দিয়ে চলাই ভালো হবে।’
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।
প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।